তানোরে আটকের পর বিয়ে না করায় বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা

রাজশাহী লীড
তানোর প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর তানোরে মামা মুহুরি উত্তমের সাথে ঘর বন্দি থানা পুলিশের হাতে আটক হওয়া আলোচিত সেই মহিলাকে বিয়ে করার নামে শহরে নিয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ড করে বিয়ে করতে না চাইলে হাত কেটে ও বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার তানোর পৌর সদর হিন্দুপাড়া ভাড়া বাসা থেকে ওই মহিলাকে একই গ্রামের দলিল লেখক উত্তম শহরে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে বিয়ে না করে বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করলে ওই মহিলা বাধ্য হয়ে বিষপান করেছেন বলে দাবি করেন পরিবারের লোকজন।  বর্তমানে সেই মহিলা রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। ফলে ঘটনাটি প্রকাশ পেলে পৌর সদর জুড়েই উত্তমের শাস্তির দাবি উঠেছে জোরালো ভাবে, সেই সাথে সবার মুখে মুখে মামা মামির প্রেমের কাহিনী নাকি উত্তম সুচিত্রার প্রেমকেও হার মানিয়েছে।
জানা গেছে, চলতি মাসের ১লা আগস্ট রাতে দলিল লেখক ব্যবসায়ী উত্তম মামির ঘরে প্রবেশ করে। মামির দেবর দেখতে পেয়ে তাদেরকে ঘর বন্দি করে ফেলেন। পরদিন সকাল দশটার দিকে পুলিশ ঘরে প্রবেশ করলে মামি কোনভাবেই স্বীকার করেননি মামা উত্তম আছে। কিন্তু মামির দেবর ঘরে ঢুকে খাটের নিচে বস্তার ভিতর থেকে প্রেমিক উত্তমকে আটক করেন। আটকের পর থানা পুলিশের পিকআপে করে প্রেমিক যুগলকে থানায় নেওয়া হয়। থানায় নেওয়ার পর কোন বাদি না থাকায় প্রেমিকা মামিকে মা ভায়ের জিম্মায় দেন এবং পরদিন প্রেমিক মামা উত্তমকে ১৫১ ধারায় আদালতে প্রেরন করা হয়। জামিনে এসে উত্তম পুনরায় প্রেমিক এক সন্তানের জননী মামির সাথে যোগাযোগ শুরু করেন। এরই প্রেক্ষিতে এক সন্তানের জনক প্রেমিক মামা উত্তম মামিকে বিয়ের নাম করে শহরে নিয়ে যায়। কিন্তু বিয়ের পরিবর্তে অনৈতিক কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে মহিলা হাত কেটে এবং বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
অবস্থা বেগতিক বুঝে উত্তম রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান
মহিলার মা জানান, আমার স্বামী হারা মেয়ের ঘরে গেল উত্তম । সারা রাত বন্দি করে রাখা হল। গ্রামের লোকজনসহ হাজার হাজার মানুষ ঘটনা জানল দেখল। উত্তম জামিনে এসেই বিয়ে করবে বলে আমার সুস্থ মেয়েকে গত শনিবার রাজশাহীতে নিয়ে গেল। কিন্তু রাতে শুনতে পাচ্ছি বিয়েতো হয়নি আমার মেয়ে হাত কেটেছে বিষপান করে মেডিকেলে ভর্তি আছে। উত্তমের দৃষ্টান্ত মুলুক শাস্তি চাই এবং আমার সুস্থ মেয়েকে ফিরে পেতে চাই। কারন তাঁর একটি সন্তান রয়েছে। তিনি আরো জানান থানায় থেকে আনার পর আমার মেয়েকে নিজ বাড়িতে উঠতে দেয়নি তাঁর দেবর।
গ্রামবাসী জানায়, দলিল লেখক উত্তম শুধু নারী লোভী না সে একজন বড় মাপের ভুমিদস্যু। এর আগে নারী সংক্রান্ত বিষয়ে দুবার ধরা খেয়েছে। তাঁর চরম শাস্তি হওয়া দরকার।
মহিলার মা জানান আমরা থানায় গিয়েছিলাম। কিন্তু থানার ওসি যেখানে ঘটনা ঘটেছে সে থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেন।
এবিষয়ে প্রেমিক দলিল লেখক উত্তমের ব্যক্তিগত ০১৭১৮-৯৩৯২০৭ মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলে শুধু কেটে দেন ও হিন্দুপাড়া তাঁর বাসায় গিয়েও পাওয়া যায়নি তাকে। যার ফলে তাঁর কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *