বাগাতিপাড়ায় ভাঙ্গা সড়কে জনদূর্ভোগ, জনগনের মনে দানা বেঁধেছে ক্ষোভের

রাজশাহী
ফজলুর রহমান, বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি:  নাটোরের বাগাতিপাড়ায় ৪ কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা। সৃষ্টি হয়েছে জন দূর্ভোগের। ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে জনসাধারণের মনে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ফাগুয়াড় দিয়াড় ইউনিয়নের সাইলকোনা মহাবিদ্যালয়ের কাছ থেকে জোশাইতোলা মোড় পর্যন্ত ৪ কিমি সড়কের বেহাল দশায় সৃষ্টি হয়েছে জন দূর্ভোগ। আর এতে করে জনগনের মাঝে অভিযোগ নয়, মনে দানা বেঁধেছে ক্ষোভের।
এই এলাকাটি কৃষি প্রধান হওয়ায় কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল বাজার জাত করতে গিয়ে প্রতিনিয়তই পড়ছেন বিপাকে। এদিকে পণ্য পরিবহনে বিকল্প সড়ক হিসেবে ১০ কিলোমিটার ঘুরে যাওয়ায় কৃষকদের গুণতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার ১৪ হাজার মানুষের জেলা শহরে যাতায়াতের প্রধান সড়ক এটি। আর এসড়কের এমনই বেহাল অবস্থা যে কোথাও কোন পিচের চিহ্ন পর্যন্ত নেই। বর্ষা মৌসূমে সড়ক জুড়ে কাদা আর পানিতে একাকার হয়ে গেছে। সড়কটি দিয়ে কোন যানবাহন চলাচলের উপায় নাই। সড়কটি পাকা হওয়ার ১৮ বছর পার হলেও আর একবারও সংস্কার কাজ না হওয়ায় সড়কটি এখন মাটির রাস্তার থেকেও খারাপ অবস্থায় চলে গেছে। বর্ষাকালে কাদামাটির কারণে যানবাহন চলাচল তো দুরের কথা হাঁটা চলাও দায় হয়ে পড়েছে। ক্ষমতাশীনরা যে যখন ক্ষমতায় আসেন সকলেই আশ্বাস দেয় কিন্তু কোন কাজ হয় না। তাই সড়কটি এখন ক্ষমতাশীনদের আশ্বাসের সড়কে  পরিনত হয়েছে।
সাইলকোনা গ্রামের কৃষক নজরুল বলেন, আমাদের উৎপাদিত ফসল গুলো নাটোর সদরের  তেবাড়িয়া এবং সংকরভাগ বড় দুটি হাটে বিক্রি করে থাকি। সেই হাটে যাওয়ার এই সড়কটির বেহাল দশার কারণে ১০ কিলোমিটার ঘুরে অন্য সড়ক দিয়ে যাওয়ায় আমাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি খরচ। তাই এই সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান তিনি।
স্থানীয় জোশাইতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলী বলেন, ফাগুয়াড় দিয়াড় ইউনিয়নের প্রায় সকল মানুষকে এই সড়ক দিয়ে জেলা শহরে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু সড়কটি নিয়ে কারও মাথা ব্যথা নেই। যত ভোগান্তি চলাচলকারীদের। হঠাৎ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে এবং এই এলাকার গর্ভবতী মায়েদের নাটোর সদরে নিয়ে দ্রুত চিকিৎসা সেবা সম্ভব হয় না। ফলে জনগুরুত্বপূর্ন এই সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান তিনি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কটির বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে বড়-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কটি দেখে বুঝবার উপায় নেই যে এটি পাকা সড়ক। আর সড়কটি দিয়ে বাই সাইকেল পর্যন্ত চালিয়ে যেতে পারছেনা মানুষ।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুর রহমান বলেন, সড়কটি আমফান প্রকল্পে পাঠানো আছে। অনুমোদন পেলেই টেন্ডার হবে।
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *