উপচারের সম্পাদকসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে সাংবাদিক জুলুর লিগ্যাল নোটিশ

রাজশাহী

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী থেকে প্রকাশিত দৈনিক উপচার পত্রিকার সম্পাদক ড. আবু ইউসুফ সেলিমসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আইনজীবীর মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সাংবাদিক নজরুল ইসলাম জুলু। রাজশাহী জজ কোর্টের আইনজীবী এসএম জ্যোতি উল ইসলাম সাফিউল (সাফী) সাংবাদিক জুলুর পক্ষে এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। অন্য দুইজন হলেন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নুরে ইসলাম মিলন ও স্টাফ রিপোর্টার আসগর আলী।

লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়েছে, গত ২৪ আগস্ট সাংবাদিক জুলুর বিরুদ্ধে উপচার পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে সাংবাদিক জুলুর বিরুদ্ধে প্রকাশিত খবরের প্রতিবাদ ও ২৭ জুন নগরের দাশপুকুর এলাকার সেলিমের নাটকীয় অস্ত্র উদ্ধার ও ৩০ জুন দাশপুকুরের জমি দখলকে কেন্দ্র করে জোড়া খুন মামলায় উপচারের সাংবাদিক নুরে ইসলাম মিলন এর সম্পৃক্ততার অভিযোগের অনুসন্ধানমূলক খবর প্রকাশ ও ৩১ জুলাই সাজাপ্রাপ্ত কথিত সাংবাদিক নুরে ইসলাম মিলনকে র‌্যাব কর্তৃক আটকের খবর খবর

২৪ ঘণ্টাসহ অন্যান্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় এবং খবর ২৪ ঘণ্টার কাছে উক্ত ঘটনার সাথে মিলনের সংশ্লিষ্টতার স্বীকারোক্তিমূলক অডিও ক্লিপ থাকায় বিতর্কিত সাংবাদিক মিলন ও ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট ২ জন পুলিশ কর্মকর্তার নানান অপপ্রচারের মুখোমুখি হতে হচ্ছে সাংবাদিক জুলুকে। তাদের মিথ্যাচারের প্রধান উদ্দেশ্য হলো জুলুকে সামাজিকভাবে হেয় করা ও উক্ত ঘটনাগুলোর খবর প্রকাশ করা থেকে বিরত রাখা। নুরে ইসলাম মিলন জুলাই মাসে একাধিকবার নগরের গুরুত্বপূর্ণ এক থানার ওসির বিরুদ্ধে খবর প্রকাশ না করার জন্য ম্যাসেঞ্জারে ম্যাসেজ করে অনুরোধ করে। এ বিষয়টি নগরের সিনিয়র

সাংবাদিকদের জানানো হয়েছে। মিলনের অনুরোধ না শুনে জুলু সংবাদ প্রকাশ করা অব্যাহত রাখে। যা জের ধরেই এ অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। নোংরা ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে মিলন তার পত্রিকা উপচারকে ব্যবহার করছে। ইতোমধ্যে মিলন নানান সাজানো মিথ্যা খবর প্রকাশ করেছে। যার প্রতিবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছাপানো হয়েছে। মিলন ও তার সহযোগিরা নোংরা খেলায় মেতে উঠেছে। তারা হাতিয়ার হিসেবে সাংবাদিক জুলুর বড় ছেলের প্রাক্তন স্ত্রীকে ব্যবহার করছে। ছেলের সাথে শেখ হাসিবাতুল ইলমাহ বিবাহ বিচ্ছেদের একবছর পর তাকে ব্যবহার করে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। ২৭ আগষ্ট উপচার পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে প্রকাশিত

খবরে বলা হয়েছে, জুলু তার ছেলের বউকে সেক্সুয়ালি হ্যারেসমেন্ট করেছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তার পরিবারের স্ত্রী, দুই ছেলে, মা ও বোন রয়েছে। বাড়িতে আরো থাকে ৩টি ভাড়াটিয়া পরিবার। অথচ বাড়ি ভর্তি কোনো মানুষ ইলমাকে হ্যারেসমেন্টের বিষয়টি কেউ জানতে পারলোনা। ১ বছর পর ঘটনার বিবরণ জানানো হলো মিলনকে যার সাথে জুলুর পেশাগত কারণে ঝামেলা চলছে। আরো বলা হয়েছে, ইলমার চিৎকারে পাড়া-প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এমন ঘটনা কোনদিনই ঘটেনি। এমন

ঘটনা ঘটলে বাড়ির সাতে ৩ /৪ জন মানুষ ও প্রতিবেশীরা জানতে পারতো। সরজমিনে তদন্ত করলে এমন ঘটনা যে ঘটেনি তার সত্যতা পাওয়া যাবে। খবরে প্রকাশিত ঘটনাটি মিলনের কুবুদ্ধির তৈরি করা মস্তিকের ফসল। সেক্সুয়ালি হ্যারেসমেন্টের মতো সেনসিটিভ ইস্যু নিয়ে নোংরামি করে মিলন সাংবাদিকতা পেশাকে কলুষিত করেছে। সে একজন কলুষিত মানসিকতার ধারক। জুলুর স্ত্রী, ছেলে ও পরিবারের সদস্যরা দেড় বছরেও ছেলের প্রাক্তন স্ত্রী ইলমার কাছ থেকে এহেন কোনো অভিযোগ শোনেননি।

ইলমাহকে কেন্দ্র করে এতদিন পর যারা মিথ্যাচার করছে এমন পেছনের কারণ নিশ্চই সবাই বুঝতে পারছে। উল্লেখ্য, যে ইলমার বিভিন্ন ধরণের অসাদাচরণ ও উচ্ছৃঙ্খলতার কারণে সাংবাদিক জুলু ২০২০ সালের ২১ মার্চ বোয়ালিয়া মডেল থানায় জিডি করেন। যার নম্বর-১১১১। পরবর্তীতে ওই থানাতেই ইলমার অসংলগ্ন কথাবার্তা ও আচার-আচরণের জন্য জিডি করা হয়। যার নম্বর-১২২০। ইলমার অসাচরণের বিষয়টি তার পরিবারকেও জানানো হয়। তারা জুলুকে বলেন যে, তারা তাদের মেয়েকে বোঝাবেন। তাদের পরামর্শে নগরীর একজন মানসিক বিশেষজ্ঞকেও দিয়েও কাউন্সিলের ব্যবস্থা করা হয়। সাংবাদিক জুলুর জিডিগুলো তদন্ত করে

বোয়ালিয়া থানার প্রাক্তন এসআই আব্দুল মতিন। তদন্তকারী কর্মকর্তা স্বয়ং ইলমার কাছ থেকে জবানবন্দি গ্রহণ করেন। তখন ইলমাহ শ্বশুর কর্তৃক সেক্স্রুয়ালি হ্যারেসমেন্টের কথা উল্লেখ করেননি। অথচ এতদিন পর এসে অভিযোগ করছে তাও আবার উপচারের সাংবাদিক নুরে ইসলাম মিলনের কাছে। পরবর্তীতে এসআই মতিনের উপস্থিতে ২০২০ সালের ২৮ এপ্রিল রাত আনুমানিক পৌণে ৯টার দিকে ইলমাহ বাড়ি ছেড়ে স্বেচ্ছায় চলে যায়। বিষয়টি তদন্তকারী কর্মকর্তা নিজে বাদী জিডিভুক্ত করেন ।

যার জিডি নং-১০২। আরো উল্লেখ থাকে যে, সাংবাদিক জুলু তার বড় ছেলের প্রাক্তন স্ত্রীকে সেক্স্রুয়ালি হ্যারেসমেন্ট বা তার সাথে অসাদাচরণ করতো তাহলে ইলমা নিজে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার পর হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ করে ক্ষমা চাইতোনা। বার বার ক্ষমা চাওয়ার স্কীনশর্ট জুলুর কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। এই নোংরা অভিযোগের সত্যতা থাকলে একই বাড়িতে তার স্ত্রী ও ছেলেরা থাকতোনা। সবকিছু থেকে প্রতীয়মান হয় যে, শুধুমাত্র প্রতিহিংসার কারণে কথিত সাংবাদিক নুরে ইসলাম মিলন

উপচারকে ব্যবহার করে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এই অপপ্রচারের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদ আগামী ৩০ দিনের মধ্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করে ক্ষমা প্রার্থনা করণে দৈনিক উপচারের সম্পাদক, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের বিরুদ্ধে আদালতের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

স্ব:বা/না

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *