আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা এবং হয়নারীমূলক মানব পাচার মামলা দেওয়ার অভিযোগ 

রাজশাহী

নওগাঁ সংবাদদাতাঃ নওগাঁ জেলার নওগাঁ সদর উপজেলার ১১নং শিকারপুর ইউনিয়নের চকরামকানু গ্রামের মৃত কফিল উদ্দীন মন্ডল এর পুত্র মোঃ সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানায় আবুল কালাম আজাদ সহ চার জনকে আসমী করে মানব পাচারের মামলা করেছে বলে জানা যায়। নওগাঁ সদর মডেল থানায় খোজ নিয়ে জানা যায় যে, গত ইং ১৭/০৭/২০২১ তারিখে মোঃ সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মানব পাচারের মামলা করেছে। মামলা নং- জিআর ২৭৬/২১ (নওগাঁ)।

বাদীর কাছে মোবাইল ফোনে এই ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমি মোবাইল ফোনে কোন কথা বলতে পারব না। সামনা সামনি কথা বলতে হবে। তার পরে বাদী মোঃ সিরাজুল ইসলাম এর নির্ধারিত স্থানে তার সাথে দেখা করলে তিনি বলেন যে, চককালিদাস গ্রামের মৃত কমর উদ্দীন সরদার এর পুত্র মোঃ সবুজ হোসেন, একই গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলী সরদারের পুত্র মোঃ আব্দুল খালেক ও একই গ্রামের মৃত কমর উদ্দীন সরদার এর স্ত্রী মোছাঃ রাবেয়া বেগম (ভুদি) এবং গোয়ালী গ্রামের মৃত মকবুল হোসেন এর পুত্র মোঃ আবুল কালাম আজাদ সহ চার জনের বিরুদ্ধে নওগাঁ সদর মডেল থানায় মানব পাচারের মামলা করি। আমার ছেলেকে ১নং আসামী বিদেশে নিয়ে গিয়ে সে কোন বৈধ কাগজ করে দেয় নাই বিধায় আমার ছেলে এখন বিপদে আছে। আকামা করে দিবে মর্মে ১নং আসমীর পরামর্শে অন্যান্য আসমীরা আমার কাছে থেকে নগদ ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা গ্রহণ করে এবং আমার ছেলে বিদেশে কাজের ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা সহ মোট ৬,০০,০০০/- (ছয় লক্ষ) টাকা আসামীদের থেকে আমি পাব।

১নং আসামী মোঃ সবুজ হোসেন দেশে আসলে আমি তার সঙ্গে এবং তার সহযোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তখন ১নং আসামী আমাকে বলে যে, সে আমার ছেলেকে কোন বৈধ কাগজ করে দিতে পারবে না এবং কোন টাকা পয়সা আমার কাছে থেকে আপনার ছেলে পাবে না ও অন্যান্য আসামীগণ বলে আমারা কোন টাকা পয়সা নেই নাই।  যেহেতু আমার ছেলেকে কোন বৈধ কাগজপত্র করে দিতে পারে নাই সেহেতু আমি আসামীদের বার বার আমার ছেলে মোঃ রুবেল হোসেন কে বৈধ কাগজ করে দেওয়ার কথা বললেও তারা আমার ছেলেকে কোন বৈধ কাগজ করে দিতে পারে নাই।

আমার ছেলে বিদেশে বৈধ কাগজ না থাকার কারণে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এই ঘটনার বিষয়ে ১নং আসামীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে ১নং আসামীর স্ত্রী মোছাঃ জান্নাতুন হীরা বলে যে, এই সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ মোঃ সিরাজুল ইসলাম আমার স্বামী মোঃ সবুজ হোসেন বিদেশে থাকা কালে ২০১৯ সালে এই চাঁদাবাজ মোঃ সিরাজুল ইসলাম নওগাঁ সদর মডেল থানায় আমার শ্বাশুরী মোছাঃ রাবেয়া বেগম (ভুদি) ও আমার শ্বশুর মৃত কমর উদ্দীন দুইজনকে আসামী করে নওগাঁ সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করে। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে থানায় উভয় পক্ষই বিষয়টির একটি সুষ্ঠ সমাধানের লক্ষ্যে বসা হয়। থানায় এই চাঁদাবাজ মোঃ সিরাজুল ইসলাম তার আনিত অভিযোগটি প্রমাণ করতে ব্যার্থ হয়। গতে ইং ১৫/১২/২০১৯ তারিখে একটি জাতীয় পত্রিকায় ৭ নং পাতায় ৬ ও ৭ নং কলামে প্রবাসীর ক্ষপ্পরে সর্বসান্ত নওগাঁর ১০ পরিবার শিরোনামে একটি খবর প্রকাশিত হয়। ঐ পত্রিকায় ভুক্তভোগী পরিবারে অভিযোগ তাদের স্বজনদের আকামা করে দেওয়ার নামে সবুজের বাবা কমর উদ্দীন ও মা রোকেয়া বিবিকে টাকা দেওয়া হয়েছে। ২ বছর আগে ৬,৫০,০০০/- (ছয় লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকায় সে সৌদীতে যায়। সেখানে একটি কোম্পানীতে ৬ মাস কাজ করে।

ছেলের আকামা করে দিবে বলে মোঃ সবুজ হোসেন ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা দিতে বলে**আকামা করে দেওয়ার শর্তে সবুজ তার বাবা ও মায়ের কাছে আমাকে ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা দিতে বলায় ১ বছর আগে তাদের বাড়িতে গিয়ে আমি টাকা দেই। ১নং আসামীর স্ত্রী মোছাঃ জান্নাতুন হীরা আরও বলে এই চাঁদাবাজ মোঃ সিরাজুল ইসলাম সহ আরও ৫ জন মিলে ২০১৯ সাল থেকে আমাদের পরিবারের উপর অন্যায় ভাবে চাঁদা দাবী করে হয়রানী করে আসছে। আমার স্বামী মোঃ সবুজ হোসেন বিদেশে থাকা কালে আমার শ্বশুর কমর উদ্দীন ৩ মাস পূর্বে মারা যান। মারা যাওয়ার খবর শুনে আমার স্বামী মোঃ সবুজ হোসেন গত ইং ২০/০৬/২০২১ তারিখে বাংলাদেশে আসে। ১২ বছর যাবৎ আমার স্বামী সৌদি আরবে চাকুরী করে এবং মাঝে মধ্যে ছুটি পেলে বাংলাদেশে আসে। ১৪ দিন হোম কোরান্টাইনে থাকার পর সে গ্রামের বাড়িতে আসে। গ্রামের বাড়িতে আসার পর থেকে শৈলকোপা গ্রামের চাঁন মুহুরীর ছেলে রুকুনুজ্জামান (টুকু), চকরামকানু গ্রামের মৃত কফিল উদ্দিন এর ছেলে মোঃ সিরাজুল ইসলাম, চককালিদাস গ্রামের মোঃ আব্দুল জব্বার এর ছেলে ফরহাদ হোসেন একই গ্রামের মৃত বাবু এর ছেলে মোঃ লুৎফর ও মৃত নূর মোহাম্মাদ এর ছেলে মোঃ ইউনুছ সর্ব থানা ও জেলা নওগাঁ আমার স্বামীর নিকট ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা চাঁদা দাবী করে এবং বিভিন্ন ভাষায় গালি-গালাজ, ভয়-ভীতি, হুমকি-ধামকি দিতে থাকে। আমার স্বামী চাঁদার টাকা দিব না বললে সকল আসামীগণ ক্ষিপ্ত হয়ে শাসন-গর্জন সহ মিথ্যা মামলা দিবে এবং আমার স্বামী মোঃ সবুজ হোসেন কে একা পেলে হত্যা করে লাস গুম করবে বলে প্রকাশ্য দিবালকে হুকমি দেয়। পূবের চাঁদার টাকা না দেওয়ার কারণে হঠাৎ করে গত ইং ১৬/০৭/২০২১ তারিখে সময় রাত্রী অনুমানিক ৯.০০ টার সময় আমার নিজ বাড়িতে নওগাঁ সদর মডেল থানার পুলিশ সহ উপরে উল্লেখিত চাঁদাবাজরা আমার বাড়িতে এসে আমার স্বামীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আমি থানা পুলিশ এর কাছে আমার স্বামীকে কেন থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা জানতে চাইলে তখন থানা পুলিশ আমাকে বলে থানায় গেলে জানতে পারবেন। পরের দিন ইং ১৭/০৭/২০২১ তারিখে মোঃ সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় মানব পাচারের মামলা করে।

আমার স্বামী সহ ০৪ (চার) জনের বিরুদ্ধে মানব পাচারের মামলা দেয় এবং আমার স্বামী সবুজ কে আদালতে প্রেরণ করে। যেহেতু আমি থানায় খোজ নিয়ে জানতে পারি আমার স্বামীর নামে ইতি পূর্বে কোন মামলা মোকদ্দমা ও ওয়ারেন্ট নেই সেহেতু আমার স্বামীকে গত ইং ১৬/০৭/২০২১ তারিখে চাঁদাবাজ মোঃ সিরাজুল ইসলাম এবং তার সহযোগীরা বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে অন্যায় ভাবে মারধর করে। আমার স্বামীর বিরুদ্ধে কোন অপরাধ না পেয়ে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী মোঃ সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে পূর্বের চাঁদার টাকা না দেওয়ার কারণে থানায় মামলা করে যা আমার জানা মতে মামলাটি একটি সাজানো নাটক ও মিথ্যা মামলা। আমার স্বামী কাহারও কাছে থেকে কোন টাকা পয়সা নেয়নি এবং কাহাকেও বিদেশে পাঠায়নি। শত্রুতামূলক ও হয়রানীমূলক ভাবে আমার স্বামী ও আমার পিতা মোঃ আব্দুল খালেক, আমার শ্বাশুরী মোছাঃ রাবেয়া বেগম (ভুদি) এবং আমার মামা শ্বশুর মোঃ আবুল কালাম আজাদ এর বিরুদ্ধে মানব পাচারের মামলা করে। যেহেতু আমার স্বামীর বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে কোন মামলা মোকদ্দমা ছিলনা। কিন্তু, থানা পুলিশ এই চাঁদাবাজ মোঃ সিরাজুল ইসলামের কথা শুনে আমার স্বামীকে গত ইং ১৬/০৭/২০২১ তারিখে রাতে তুলে নিয়ে গিয়ে চাঁদাবাজ মোঃ সিরাজুল ইসলামের কথামত মিথ্যা মানব পাচারের মামলা দেয়।

যেহেতু গত ইং ১৫/১২/২০১৯ তারিখে দৈনিক সমকাল পত্রিকার ৭ নং পাতায় প্রকাশিত খবরে আমার শ্বশুর ও শ্বাশুরীকে ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা দেওয়া হয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়। কিন্তু, ৩ মাস পূর্বে আমার শ্বশুর কমর উদ্দীন মারা গেলে আমার স্বামী আমার শ্বশুরের মারা যাওয়ার খবর শুনে বাংলাদেশে আসলে গত ইং ১৬/০৭/২০২১ তারিখে তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে আমার স্বামী সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে কি করে মিথ্যা মামলা দেওয়া হল? জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত উক্ত খবরে ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা উল্লেখ থাকলেও গত ইং ১৭/০৭/২০২১ তারিখে চাঁদাবাজ মোঃ সিরাজুল ইসলাম কি করে ৬,০০,০০০/- (ছয় লক্ষ) টাকা দাবী করে থানায় মামলা করে এবং সেখানে আমার শ্বাশুড়ী সহ ৪ জনকে আসামী করে? তাহলে কি পূর্বের পত্রিকায় দুই জনের কথা উল্লেখ করে খবরটি প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে ৪ জনকে আসামী করে ঐ একই ঘটনা দেখিয়ে মানব পাচারের মামলা করা হয় তাহলে কি ঘটনাটি মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয় না। আমার শ্বশুর মারা গেলে এই চাঁদাবাজ মোঃ সিরাজুল ইসলাম পূর্ব শত্রুতার কারণে প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে প্রতিশোধ নিতে মিথ্যা মামলা করে। আমার জানামতে গোয়ালী গ্রামের আনিছুর রহমান এর ছেলে মোঃ আতাউর রহমান এর মাধ্যমে এই বাদীর ছেলে মোঃ রুবেল হোসেন বিদেশে গিয়েছিল। এলাকাবাসী সবাই এই বিষয়ে অবগত আছেন যা নিরপেক্ষ তদন্ত হলে প্রকৃত সত্য উদঘাটন হবে। আতাউর রহমানের ছোট ভাই মোঃ ভাদু বিদেশে থাকে এবং তারই পরামর্শক্রমে আতউর রহমান মোঃ রুবেল হোসেন কে বিদেশে পাঠায় এবং যাবতীয় আর্থিক লেনদেন তাদের মধ্যে হয়েছে বলে জানতে পারা গেছে।

২নং আসামী মোঃ আব্দুল খালেক এর সঙ্গে দেখা করলে তিনি বলেন পূর্ব থেকেই এই চাঁদাবাজ মোঃ সিরাজুল ইসলাম আমার জামায়ের পরিবারের কাছে থেকে অন্যায় ভাবে চাঁদা দাবী করে আসছিল। চাঁদার টাকা না দেওয়ার কারণে আমার জামাই মোঃ সবুজ হোসেন দেশে আসলে তাকে সহ মোট ৪ জনকে আসামী করে মানব পাচারের মামলা যে মামলা দেওয়া হয়েছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট। আমাদের কে হয়রানী ও সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। আমার জানামতে গোয়ালী গ্রামের আনিছুর রহমান এর ছেলে মোঃ আতাউর রহমান এর মাধ্যমে এই বাদীর ছেলে মোঃ রুবেল হোসেন বিদেশে গিয়েছিল। এলাকাবাসী সবাই এই বিষয়ে অবগত আছেন যা নিরপেক্ষ তদন্ত হলে প্রকৃত সত্য উদঘাটন হবে। আতাউর রহমানের ছোট ভাই মোঃ ভাদু বিদেশে থাকে এবং তারই পরামর্শক্রমে আতউর রহমান মোঃ রুবেল হোসেন কে বিদেশে পাঠায় এবং যাবতীয় আর্থিক লেনদেন তাদের মধ্যে হয়েছে বলে জানতে পারা গেছে। ৩নং আসামীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে আবুল কালাম আজাদ বলেন এই সমাজে আমি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী সরকারী আইন অনুযায়ী আমি বৈধ ভাবে ব্যবসা পরিচালনা করি। সমাজে আমার মান সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য আমার ‍উপরে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। আমি ও আমার ভাগিনা, বোন ও ভাগিনার শ্বশুর মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত নই। এই মানব পাচার মামলা শুধু আমাদের মান সম্মান হানী করার জন্য উদ্দেশ্য মূলক ভাবে দেওয়া হয়েছে। যেন আমরা ভয় পেয়ে চাঁদাবাজ মোঃ সিরাজুল ইসলাম কে চাঁদার টাকা দিয়ে দেই। আমার ভাগীনা কোন দিন কাউকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে কারও সাথে টাকা লেনদেন করে নাই এবং কাউকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তার সাথে প্রতারণা করে নাই। আমার জানামতে যারা মামলার বাদী হয়েছে তাদের ছেলেদের আমরা কেউ বিদেশে পাচার করিনাই এবং তাদেরকে প্রলোভন দেখিয়ে তাদের থেকে অন্যায় ভাবে কোন টাকা গ্রহণ করি নাই। আমাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজ মোঃ সিরাজুল ইসলামের এই আনিত অভিযোগটি পুরোপুরি মিথ্যা, উদ্দেশ্য প্রণদিত, বানোয়াট। আমার জানামতে গোয়ালী গ্রামের আনিছুর রহমান এর ছেলে মোঃ আতাউর রহমান এর মাধ্যমে এই বাদীর ছেলে মোঃ রুবেল হোসেন বিদেশে গিয়েছিল।

এলাকাবাসী সবাই এই বিষয়ে অবগত আছেন যা নিরপেক্ষ তদন্ত হলে প্রকৃত সত্য উদঘাটন হবে। আতাউর রহমানের ছোট ভাই মোঃ ভাদু বিদেশে থাকে এবং তারই পরামর্শক্রমে আতউর রহমান মোঃ রুবেল হোসেন কে বিদেশে পাঠায় এবং যাবতীয় আর্থিক লেনদেন তাদের মধ্যে হয়েছে বলে জানতে পারা গেছে। ৪নং আসামী মোছাঃ রাবেয়া বেগমের সাথে দেখা করলে সে বলে যে, ঘটনাটি সত্য নয় এবং আমার ছেলে কোন ভাবেই এই ঘটনার সাথে জড়িত নয়। আমাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজ মোঃ সিরাজুল ইসলামের আনিত এই অভিযোগ মিথ্যা এবং বানোয়াট। সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে জানা যায় যে, রঘুনাথপুর গ্রামের আরমান হোসেন বলেন আমিও সবুজের সঙ্গে বিদেশে ছিলাম। আমার জানামতে সবুজ একজন্য সৎ ছেলে। সে মোঃ সিরাজুল ইসলামের ছেলে মোঃ রুবেল হোসেন কে বিদেশে নিয়ে যায় নাই। আমার জানামতে গোয়ালী গ্রামের অন্য এক জনের মাধ্যমে মোঃ রুবেল হোসেন বিদেশে গিয়েছে ও সে বিদেশে চাকুরী করছে এবং নিরাপদে আছে। চকরামকানু গ্রামের মোঃ জাফের আলী মোল্লার ছেলে মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন যে, এই মোঃ সিরাজুল ইসলাম বিদেশে থাকা কালে আমার সাথে তার পরিবারের জমাজমির বিষয় নিয়ে দন্দ্ব ফাসাদ হলে আমাকে সহ আমার পরিবারের আরও ১১ জনের বিরুদ্ধে সিরাজুল ইসলামের কু-পারামর্শে তার স্ত্রী নূরজাহান (মুনি) গত ইং ০৪/০১/২০১২ তারিখে নওগাঁ মডেল থানায় একটি মামলা করেন যা মিথ্যা। মামলা নং- জিআর ৭৪০/১২ (নওগাঁ)। বিজ্ঞ আদালত গত ইং ৩১/১২/২০১৯ তারিখে মোঃ তাজুল ইসলাম মিঞা, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাডিস্ট্রেট কোর্ট নং-১, নওগাঁ আমাদের সকল আসামীকে বেকসুর খালাস প্রদান করে। এই থেকে এটাই প্রমাণিত হয় যে, বাদী সিরাজুল ইসলাম একজন প্রতারক, ধপ্পাবাজ, মামলাবাজ এবং খারাপ লোক। শুধু এটাই শেষ নয়। মোঃ সিরাজুল ইসলামের আরও কুকির্তী হল ভুয়া ও জাল দলিল করে আমাদের সম্পত্তি আত্মসাত করার চেষ্টা করা এবং অবশেষে সে ব্যার্থ হয়।

১নং আসামীর স্ত্রী মোছাঃ জান্নাতুন হীরা বলেন এই ঘটনা ঘটার পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। যে কোন সময় আইন শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে এবং আমার পরিবারের সদস্যরা আসামীদের দ্বারা শারীরিক, আর্থিক ভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। তাই আমি জান্নাতুন হিরা আমার সহ আমার পরিবারের সকলের জীবনের নিরাপত্তার জন্য  প্রশাসনের কাছে সহযোগীতা প্রার্থনা করছি।

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *