যেভাবে ১৭ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেন রাগীব আহসান

জাতীয় লীড

স্বদেশ বাণী ডেস্ক:  ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে শরিয়াহভিত্তিক সুদমুক্ত বিনিয়োগের ধারণা প্রচার করে ১০ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে ১১০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেন।এরপরই বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান খুলে হাতিয়ে নেন ১৭ হাজার কোটি টাকা। এমনটিই দাবি করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

বেশ কজন ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-১০ এর একটি দল রাজধানী ঢাকার শাহাবাগ থানার তোপখানা রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাগীব আহসান (৪১) ও তার সহযোগী আবুল বাশার খানকে (৩৭) গ্রেফতার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ভাউচার বই ও মোবাইল ফোন।

শুক্রবার বিকালে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে তার অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিষয়ে অবহিত করতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, রাগীব আহসান ১৯৮৬ সালে মাদরাসায় পড়াশোনা শুরু করেন। ১৯৯৯ সালে হাটহাজারী মাদরাসা থেকে তিনি পাস করেন। ২০০০ সালে খুলনার একটি মাদরাসা থেকে মুফতি ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর মসজিদে ইমামতি করেন।

২০০৬-০৭ সালের দিকে ইমামতির পাশাপাশি ‘এহসান এস মাল্টিপারপাস’ নামে একটি এমএলএম কোম্পানিতে ৯০০ টাকা বেতনে চাকরি করার মাধ্যমে এমএলএম কোম্পানির আদ্যপান্ত রপ্ত করেন রাগীব। ২০০৮ সালে ‘এহসান রিয়েল এস্টেট’ নামে নিজেই একটি এমএলএম কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। ওই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ১০ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে ১১০ কোটি টাকা নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন।

রাগীবের তত্ত্বাবধানে ৩০০ মাঠ পর্যায়ের কর্মী ছিল। যাদের কোনো বেতন ছিল না। যদিও তাদের বিনিয়োগ আনার পরিমাণের ওপর ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার কথা ছিল। এসব পরিকল্পনার মাধ্যমে দ্রুত গ্রাহক সংখ্যা বাড়াতে সক্ষম হন রাগীব। কর্মী-গ্রাহক সবার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন তিনি। কর্মী-গ্রাহকদের কাউকেই লভ্যাংশ পরিশোধ করেননি।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *