স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর পবায় অপহরণ করে মুক্তিপন দাবির ছয়ঘন্টা পর পুলিশ অপহৃত যুবকে উদ্ধার করেছে। এ সময় অপহরণের সঙ্গে জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে অপহরণের শিকার সেলিম রেজা রাজুকে উদ্ধারের পর পবা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় মহানগর পুলিশের কর্ণহার থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রাজু বাড়ি কর্ণহার থানার তেতুলিয়া গ্রামে। তার বাবার নাম আজাহার আলী। রাজু রাজমিস্ত্রির শ্রমিকের কাজ করে।
অপহৃত রাজুর স্ত্রী রেশমা বেগম ও মামা রবিউল ইসলাম জানান, রাজমিস্ত্রি বাবুর সঙ্গে বাড়ি থেকে অটো রিকশাযোগে শহরে যাচ্ছিল। ডাঙ্গের হাটের ব্রিজের কাছে কয়েকজন মটোরসাইকেলে গিয়ে রাজুকে অপহরণ করে। এ সময় ধস্তাধস্তিতে মিস্ত্রি বাবুও আহত হন। বাবু কাছে খবর শুনে আমরা কর্ণহার থানায় জানায়। এরপরেই রাজুর ফোন থেকে কল করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপন দাবি করে অপহরণকারিরা। একই সঙ্গে তারা বিকাশ নম্বর দেয়। এছাড়াও তারা অপহরণকারিদের একজনের বাবা মুন্নাডাইং গ্রামের আলহাজ্ব নওশাদ আলীকে টাকা দিয়ে আসতে বলেন।
কর্ণহার থানা ওসি সেলিম বাদশা বলেন, ‘অপহরণের খবর পেয়েই অভিযান শুরু করা হয়। মোবাইল ফোনের সুত্র ধরেই জানতে পারি অপহরণকারিরা খুব নিকটেই আছে। বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে আমি নিজেই অভিযানে অংশ নিই। অপহৃত সেলিম রেজা রাজুকে কাদিপুর গ্রামের আতাউরের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘উদ্ধারের আগে মুক্তিপনের দাবিতে রেজাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে অপহরণকারিদের আটক করা সম্ভব হয়নি। অপহরণের সংশ্লিষ্টতার দায়ে অপহরণকারিদের একজনের বাবাকে আটক করা হয়েছে। অভিযান অব্যহত রয়েছে।’