পলাশ হত্যায় চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ আসামি ২২

জাতীয়

স্বদেশবাণী ডেস্ক : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার চরমল্লিকপুর গ্রামে দাওয়াত দিয়ে ডেকে এনে হত্যা করা হয় যুবলীগ কর্মী পলাশ মাহমুদ (৩২)কে। এ ঘটনায় আসন্ন মল্লিকপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ২২ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নিহত পলাশের মা পলি বেগম বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় এ মামলা করেন। এর আগে গত ২৫ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টার দিকে চরমল্লিকপুর গ্রামের রমজান আলী ইমরানের বাড়ির পাশে পলাশকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

পলাশ লোহাগড়া বাজারের ফল ব্যবসায়ী ছিলেন। সে চরমল্লিকপুর গ্রামে মামাবাড়িতে থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি খুলনার বাটিয়াঘাটা এলাকায়।

তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের ২৩ দিন আগে পলাশ মাহমুদ বাবা হন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই নবজাতক ছেলেটি তার বাবাকে হারিয়েছে।

নিহত পলাশের স্ত্রী জেরিন খাতুন জানান, চরমল্লিকপুর গ্রামের রমজান আলী ইমরানের বাড়িতে দাওয়াত খাওয়ার পর পলাশকে ওই বাড়ির পাশে রাস্তার পাশে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ওই বাড়ির লোকজন জড়িত রয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, মল্লিকপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন ও রাজনৈতিক বিরোধের জেরে পলাশকে হত্যা করা হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে- দোয়ামল্লিকপুর গ্রামের শাহিদুর রহমানকে। তিনি গতবার মল্লিকপুর ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে পরাজিত হন। এছাড়া তার দুই ভাই শরিফুল ইসলাম ও মনিরুল ইসলাম এবং লোহাগড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজিব মুসল্লি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রাশেদকেও আসামি করা হয়েছে।

এদিকে আরও ৮-৯ জনকে অজ্ঞাত হিসেবে আসামি করা হয়েছে।

লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু হেনা মিলন জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *