নওগাঁ প্রতিনিধি: সাপাহারে বিদ্যুত (৩৫) নামের এক গরু চোরকে গণপিটুনী দিয়ে রাস্তায় ফেলে রেখেছে জনতা।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার গোডাউন পাড়া (ধাতাল পাড়া) গ্রামে মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ এজেন্ট পলাশের বাড়িতে চুরি করতে ঢুকলে জনতার হাতে ধরা পড়ে ওই চোর।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত্রি আড়াইটার দিকে গরু চোর বিদ্যুত ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা পার্শ্ববর্তী পত্নীতলা উপজেলার রুপগ্রামের আফাজ উদ্দীনের বাড়িতে সিঁদ কেটে প্রবেশ করে গোহাল ঘর হতে দু’টি গরু ও একটি বাই সাইকেল চুরি করে নিয়ে রাতেই সাপাহার উপজেলায় আসে।
চোরের দল চুরি করে নিয়ে আসা গরু দু’টি রাত্রি সাড়ে ৩টার দিকে গোডাউন পাড়া (ধাতাল পাড়ার) (উপজেলা সদরের বিকাশ এজেন্ট) পলাশের বাড়ির পার্শ্বে খুঁটিতে বেঁধে রেখে তার শয়ন ঘরের জানালা দিয়ে ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তার মায়ের নজরে আসে।
মহুত্বে চিৎকারে গ্রামের লোকজন বাড়ি হতে বেরিয়ে এসে চোরদের ধাওয়া করলে টাকাসহ অন্যান্য চোরের পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও খুঁটিতে বাধা গরু দু’টি ও বাই সাইকেলটিসহ বিদ্যুত চোর জনতার হাতে ধরা পড়ে।
এসময় উত্তেজিত জনতা রাতেই তাকে উত্তম মধ্যম দিয়ে রাস্তার পার্শ্বে ফেলে রাখে। এরপর ভোর রাতেই গরুর মালিক আফাজ উদ্দীনের লোকজন চুরি যাওয়া গরু খুঁজতে খুঁজতে সাপাহারের দিকে এগিয়ে এলে তাদের চুরি যাওয়া গরু দু’টির সন্ধান পান। সংবাদ পেয়ে পুলিশ সকালে অচেতন অবস্থায় চোর বিদ্যুতকে সেখান থেকে উদ্ধার করে সাপাহার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন এবং গরু দু’টি কে থানা হেফাজতে আটকে রাখে।
জনতার হাতে আটক চোর মহাদেবপুর উপজেলার মাতাজি হাট কৃষ্ণপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে। সে দীর্ঘ দিন ধরে সাপাহার উপজেলার তাজপুর-মানিকুড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের বাসায় ভাড়া থাকেন।
এলাকাবাসীর দাবি, তাদের একটি দল বিভিন্ন জায়গা থেকে গরু চুরি করে এনে চুরির পাশাপাশি কশাইয়ের ব্যবসা করত বলে জানান।
এ বিষয়ে সাপাহার থানার ওসি তদন্ত মনিরুল ইসলাম এর সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে গরু চোর বিদ্যুতসহ আরোও অজ্ঞাত নামা ৩ জনকে আসামী করে সাপাহার থানায় একটি চুরির মামলা দায়ের হয়েছে বলে দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই রইস উদ্দীন জানিয়েছেন।
স্ব.বা/শা