স্বদেশবাণী ডেস্ক: প্রাপ্যতার দিক দিয়ে বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। তবে সবার জন্য পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্যে প্রবেশাধিকার এবং ব্যবহারে আরও টেকসই উন্নতির জন্য সরকার, সুশীল সমাজ এবং উন্নয়ন অংশীদারদের কাছ থেকে নতুন করে বৃহৎ পরিসরে প্রচেষ্টা প্রয়োজন। এই সম্পর্কে তিনি পুষ্টি-সংবেদনশীল একই সঙ্গে পুষ্টি-নির্দিষ্ট খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তর সম্পর্কে গণসচেতনতা বৃদ্ধি এবং সংবেদনশীলতার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
খাদ্য ও কৃষি সংস্থার জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ও কৌশল (২০২২-২০২৬) বিষয়ক মতবিনিময় সভায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্য পরিকল্পনা ও মনিটরিং ইউনিটের (এফপিএমইউ) মহাপরিচালক মো. শরিফুজ্জামান ফারুকী প্রধান অতিথির বক্তেব্যে এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি নারীদের পুষ্টি-সংবেদনশীল কৃষি পরিবর্তনের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে অভিহিত নারী-বান্ধব কর্মসূচী ও নীতির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) আগামী পাঁচ বছরের ‘জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ও কৌশল বিষয়ক সভায় দেশের খাদ্য ও কৃষিখাতে উন্নয়নের লক্ষ্যে কর্মরতদের সঙ্গে আলোচনা হয়।
বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমকর্মীসহ ৬০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
সভার উদ্দেশ্য হলো, আগামী পাঁচ বছরব্যাপী এফএও এর জাতীয় কর্মকৌশল পরিকল্পনার লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এবং কাঙ্ক্ষিত ফলাফলসমূহ অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে সহযোগিতা করা। সেই সঙ্গে দেশে খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন অর্জনে, জাতিসংঘের প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রাখা। পরবর্তী ৫ বছরের জন্য খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) এর জন্য অর্জনযোগ্য লক্ষ্য নির্ধারণ।
এছাড়া দেশে খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষি এবং কর্মসংস্থানের উন্নয়নকে প্রভাবিত করে, সেই বিষয়ক সীমাবদ্ধতা এবং সেগুলোর সহজ ও গ্রহণযোগ্য সমাধানের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে সহযোগিতা করা। এফএও- বাংলাদেশ সরকার এবং উন্নয়নসহযোগীদের সঙ্গে অংশীদারিত্বের উপায়সমূহ আলোচনা করা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণায়ের খাদ্য পরিকল্পনা ও মনিটরিং ইউনিটের (এফপিএমইউ) মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. শরিফুজ্জামান ফারুকী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এফএও-এর ন্যাশনাল গভর্নমেন্ট পলিসি এডভাইজার মো. মিজানুর রহমান। সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন এফএও থেকে মার্কেট ও ট্রেড সিস্টেম পলিসি এডভাইজার ড. মোহাম্মদ মনিরুল হাসান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এফএও বাংলাদেশের সহকারী এফএও প্রতিনিধি (প্রোগ্রাম) মো. নুর আহমেদ খোন্দকার।
তিনি বাংলাদেশের জন্য একটি সহজ, অর্জনযোগ্য এবং ফলাফল ভিত্তিক কৌশলগত পরামর্শ পরিকল্পনা (২০২২-২০২৬) তৈরি কথা বলেন। তা বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর ও সমন্বিত প্রচেষ্টার জন্য আহ্বান জানান।
সভায় বিভিন্ন উপস্থাপনার পাশাপাশি অংশগ্রহণকারীরা দলগত উপস্থাপনা, এফএও এবং উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে দেশের উন্নত এবং টেকসই খাদ্য ব্যবস্থার লক্ষ্যে সহযোগিতা করার কথা বলেন। অংশীদারিত্বের মূল কৌশলগত অগ্রাধিকার এবং সুযোগগুলি নিয়ে আলোচনা হয়।