বগুড়ার সড়কে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীসহ প্রাণ গেল ৩ জনের

রাজশাহী

স্বদেশবাণী ডেস্ক :  বগুড়ায় শুক্রবার গভীর রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। হাইওয়ে ও থানা পুলিশ এ তথ্য দিয়েছে।

নিহতদের দুজন হলেন- বগুড়া পুন্ড্র ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (পিইউবি) ইংরেজি তৃতীয় বর্ষের ছাত্র কাহালু উপজেলার শেখাহার গ্রামের সাইদুল ইসলাম রিপনের ছেলে কামরান হুসাইন মহান রিগ্যান (২৩) ও বাসচালক দিনাজপুর সদরের উপশহর এলাকার মৃত আবদুল লতিফের ছেলে নুরুল ইসলাম (৫২)। অপরজন অজ্ঞাত মানসিক প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক।

বগুড়া সদর থানার এসআই মাসুদ রানা জানান, কামরান হুসাইন মহান ওরফে রিগ্যান শনিবার বিদ্যালয়ে পরীক্ষায় অংশ নেন। বেলা দেড়টার দিকে পরীক্ষা শেষে তিনি মোটরসাইকেলে কাহালুর শেখাহারের বাড়িতে ফিরছিলেন। বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কে বগুড়া শহরতলির গোদারপাড়া বাজারে পৌঁছলে তিনি নওগাঁগামী একটি মালবাহী ট্রাক ঘেঁষে অতিক্রম করার চেষ্টা করেন। এ সময় রিগ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে পড়ে যান। তখন ট্রাকের পেছনের চাকা তার মাথার উপর উঠলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

পুলিশ কর্মকর্তা জানান, পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সদর থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা হয়েছে। ঘাতক ট্রাক ও এর চালককে শনাক্ত করার কাজ চলছে।

হাইওয়ে পুলিশ বগুড়া অঞ্চলের শেরপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর একেএম বানিউল আনাম ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে বগুড়ার শেরপুরের শেরুয়া বটতলা এলাকায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে বগুড়াগামী শ্যামলী পরিবহন ও ঢাকাগামী সূর্য পরিবহনের দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে শ্যামলী পরিবহনের চালক নুরুল ইসলামসহ অন্তত ২৫ যাত্রী আহত হন।

এদের মধ্যে ১১ জনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকাল ৯টার দিকে চালক নুরুল ইসলাম মারা যান। দুর্ঘটনার পর প্রায় এক ঘণ্টা মহাসড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়। উভয় পাশে ৩-৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে।

অপরদিকে বগুড়া সদর থানার এসআই ইমতিয়াজ শাওন জানান, শারীরিক প্রতিবন্ধী অজ্ঞাত এক ভিক্ষুক ছিলিমপুর এলাকায় বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের ২ নম্বর গেটের পাশে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করতেন। গত ১৯ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তিনি মহাসড়ক পার হওয়ার চেষ্টা করলে অজ্ঞাত একটি যান তাকে ধাক্কা দেয়। তাকে উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দুপুরে তিনি মারা যান।

পুলিশ কর্মকর্তা জানান, মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। পরিচয় পাওয়া না গেলে দাফনের জন্য মরদেহ আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামকে দেওয়া হবে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *