স্টাফ রিপোর্টারঃ রাজশাহীর তানোরে ১৬ ডিসেম্বর উদযাপনে গণ চাঁদাবাজি এবং সেই টাকায় কর্মকর্তাদের স্যুট- কোট উপহার দিয়ে বিলাসিতা ও তোরণে বানান ভুলের অভিযোগ উঠেছে। এ দুটি ঘটনা জানাজানি হলে উপজেলা জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে বইছে সমালোচনার ঝড়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নির্দেশে উপজেলা প্রশাসন বিজয় দিবস উদযাপনের জন্য গণচাঁদাবাজি এবং চাঁদার টাকায় কর্মকর্তাদের স্যুট-কোট উপহার দিয়ে বিলাসিতা ও জাতীয় দিবসের তোরণ তৈরীতে বানান ভুল করা হয় বলে কদিন ধরে মানুষের মুখে মুখে আলোচনা হচ্ছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, উপজেলা প্রশাসন প্রতিবছর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উদযাপন করতে সরকারী-বে-সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ইট ভাটা, বণিক সমিতি, হিমাগার,স’মিল ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান থেকে আর্থিক সহায়তা নিয়ে থাকে এবং সংশ্লিষ্টরা স্বত্বঃস্ফুর্তভাবে সেখানে অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু এবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিদ্রিষ্টভাবে টাকার অঙ্ক বসিয়ে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে সেই টাকা দিতে বাধ্য করেছেন বলে অনেকে অভিযোগ তুলেছে। এক পেট্রোল পাম্প কর্মচারী বলেন, এর আগে তারা বিজয় দিবস উদযাপনে স্বেচ্ছায় এক থেকে দুই হাজার টাকা দিয়েছেন, তবে এবার ইউএনও সাহেব ৫ হাজার টাকা নিয়েছে, আমরা আপত্তি করলে ভ্রামমান অভিযানের ভয় দেখিয়েছেন তাই ৫ হাজার টাকা বাধ্য হয়েছি। এক ইট ভাটা মালিক বলেন, প্রতিবছর ৫ হাজার টাকা নিয়েছে তবে এবার ২০ হাজার টাকা নিয়েছে, এক হিমাগার কর্মচারী বলেন, প্রতিবছর ১০ হাজার টাকা দিলেও এবার ৫০ হাজার টাকা দিতে হয়েছে, সিনজেন্টা কোম্পানীর কর্মচারী বলেন, প্রতি বছর ৫০০ টাকা নিলেও এবার ৫০০০ টাকা দিতে হয়েছে। এভাবে গণচাঁবাজি করায় সাধারণ মানুষের মাঝে গণঅসন্তোষ সৃষ্টি হচ্ছে, তবে ভয়ে কেউ মুখ খুলছে না বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পঙ্কজ চন্দ্র দেবনাথ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।