প্রধানমন্ত্রী আছে যতদিন বই উৎসব পালন হবে ততদিন : ডাবলু সরকার

রাজশাহী লীড

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের জন্য অক্রান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শিশুদের স্কুলমুখী করেছেন। প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় আছেন যতদিন বই উৎসব পালন হবে ততদিন। প্রধানমন্ত্রী জানুয়ারী মাসের প্রথম দিনের কোমলমতি শিশুদের হাতে নতুন বই তুলে দেন।

গতকাল শনিবার সন্ধায় নগরীর মুন্নুজ্জান স্কুল সংলগ্ন মুক্ত মঞ্চে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে মাসব্যাপী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য একথা বলেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডাবলু সরকার।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী উপলদ্ধি করেন সকল ছোট শিশুদের মাঝে তার ১০ বছরের ছোট্ট ভাই শেখ রাশেলকে দেখতে পান। আর যখনই ১৫ আগষ্ট আসে তখনই তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে শিশু শেখ রাশেল, শেখ কামাল, শেখ জামাল এবং তার মায়ের কথা বলেন।

অবিভাবকদের উদ্দেশ্যে ডাবলু বলেন, আপনাদের শিশু সন্তানদের ছোট থেকেই সঠিক ইতিহাস জানাবেন। তারা বড় হয়ে যেন বঙ্গবন্ধুর দিকে ধাবিত হয়। তরা যেন ভোলান্তি ইতিহাসে না যায়। কারন ২১টি বছর ভোলান্ত ইতিহাস দিয়ে আমাদের ছেলে মেয়েকে বিকৃত করেছিলো। আমাদের ছেলে মেয়েরা সঠিক ইতিহাস জানতে পারেনি। তাই আমরা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হয়ে ১৭ কোটি মানুষ এক হয়ে থাকবো। কারন বঙ্গবন্ধুই বাংলাদেশের সর্ব্বোচ্চ মানুষ। গ্রিসের জরিপে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ মানুষ হিসেবে আত্ম প্রকাশ করেছেন।

তারই কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আজকে ক্ষমতায় আছেন। বাংলাদেশের মানুষ নৌকায় ভোট দিয়ে সেই মানুষটি ক্ষমতায় এনছেন। ক্ষমতায় এসে তিনি দেশের সেবা করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। অথচ এদেশের স্বাধীনতা বিরোধী চক্ররা পদ্মা সেতুতে মাথা লাগবে রক্ত লাগবে এই বলে সারা বাংলাদেশে গুজব সৃষ্টি করে দিয়েছিলো। সেই গুজোব ছড়িয়ে দেয়া হলো স্কুলের বাচ্চাদের মাঝে। যারা গুজটি ছড়িয়েছিলো তারা এদেশের স্বাধীনতা বিরোধী চক্র তারা দেশের শক্র এবং জাতির শক্র। তারা এই গুজবটি ছড়িয়ে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ করতে আমাদের মাঝে ভিতিকর পরিস্থিতি তৈরী করতে চেয়েছিলো।

আমরা পৃথিবীর সেরা জীব, আল্লাহ আমাদের শ্রেষ্ঠ মানব হিসেবে পাঠিয়েছেন। আমাদের উপরে আর কেহ নাই। আর যে পদ্মা সেতু হচ্ছে সেটা ইট-পাথরের। সেইখানে আল্লাহর সৃষ্টির সেরাজীবের মাথা লাগবে রক্ত লাগবে সেটা বিশ্বাস করে কয়েকজনকে হত্যা করলো আবার অনেকজনকে আহত করলো। ২০০৯ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে তিনি বলেছিলেন আমি যদি ক্ষমতায় আসি তাহলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবো। তিনি সাহসিকতার সাথে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন। সেই যুদ্ধাপরাধীরাই বাংলাদেশকে একটি অস্থিতিশিল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাই। কিন্তু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সেগুলো কঠোর ভাবে মোকাবেলা করেছেন। তাই আমারা সকলকে মিলে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালি করবো। কোন গুজবে কান দিবো না। যারা ১৫ আগষ্টের ঘটনা ঘটিয়েছিলো তাদের কিছু ব্যক্তির বিচার হয়েছে আর যারা পালিয়ে আছে তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার কার্য সম্পন্ন করার দাবী জানান ডাবলু সরকার।

পরিশেষে ডাবলু সরকার রাজশাহী নগরবাসীদের পরিস্কার পরিচ্ছন্ন মন নিয়ে বসবাস করার অনুরোধ জানিয়েছে। তিনি বলেছেন, বাসা-বাড়ীর ফুলের টবসহ আশাপাশ সব সময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখবো। কারণ ডেঙ্গু বাংলাদেশে বিস্তার লাভ করেছে। আমরা রাজশাহীর মানুষ অনেক সচেতন অনেক ভালো। সকলে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকার কারণে অন্তত্ত ডেঙ্গু থেকে রেহায় পাবো।

আমাদের রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন নগরবাসীকে সেবা দেওয়ার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তিনি সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি রাজশাহীকে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ নগরীতে পরিনত করার জন্য এবং রাজশাহীর মানুষগুলো যেন সুখে শান্তিতে বাস বাস করে সেজন্য দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেই যাচ্ছেন। সেই মানুষটির জন্য আমরা সকলে দোয়া করবো। সেই সাথে ১৫ আগস্টে যারা শাহাদাৎ বরণ করেছিলেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কমনাও করেন ডাবলু সরকার।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *