তানোরে ঋণের ব্যাড়ে বাড়ি ছাড়া মৎস্য জীবী পরিবার 

বিশেষ সংবাদ রাজশাহী লীড
তানোর প্রতিনিধি: এক বুক আশা নিয়ে পরিবারের মুখে দুমুঠো খাবার তুলে দিতে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে তানোর শিবনদী বিলে মাছ আহরণের জন্যে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল কিনে মৎস্য স্বীকার করে জীবীকা নির্বাহ করতে চেয়েছিলেন মৎস্য জীবী মজিদুল ইসলাম ও আব্দুস সবুর আলী। কিন্তু ভাগ্যের কি পরিহাস তাদের সপ্তাহ না যেতে বিলে ফেলে রাখা জাল উপজেলা প্রশাসনের হঠাৎ করে ভ্রাম্যমাণ অভিযানে পড়ে যায়। এতে করে সকলের সাথে তাদের জাল গুলোও পুড়িয়ে ফেলা হয়। এতে করে জাল গুলো হারিয়ে স্তম্ভ হয়ে পড়ে  মজিদুল ও সবুর আলী। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে, তানোর পৌর এলাকার ডাকবাংলো মাঠ সংলগ্ন শিতলী পাড়া মৎস্য জীবী পাড়ায় ঘটেছে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা।
একদিকে এনজিওর ঋণ অন্যদিকে পরিবার পরিজন নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে মজিদুল ও সবুর আলীকে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মজিদুল তানোর বাইস নামের এনজিও থেকে ৩০হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ২০হাজার টাকা কিস্তি পরিশোধ করলেও মাত্র ৬ হাজার টাকা কিস্তি সময়মত পরিশোধ করতে না পারায় কোর্টে মামলা করার হুমকি দিয়ে বাইস নামের এনজিও অফিস থেকে নোর্টিশ দেওয়ায় আতংকে বাড়ি  ছেড়ে ঢাকায় পালিয়ে যেতে বাদ্য হয়েছে অসহায় মৎস্য জীবী দুটি পরিবার। মৎস্য জীবী পরিবারটি সহজ সরল হওয়ায় এনজিওর একের পর এক নোর্টিশ দিয়ে মামলার হুমকি ধামকি দেয়ায় পুলিশ যেকোন সময় ধরার ভয়ে ভিটা বাড়ি ছেড়ে ঢাকায় চলে যান তাঁরা।
ফলে বেসরকারি সংস্থা বাইস এনজিওর এমন হুমকিতে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় বাড়িতে থাকা সন্তান নিয়ে চরম মানবেতর জীবনযাপন করছেন পলাতক দুই মৎস্য জীবী পরিবারের সদস্যরা। ঋণের জন্য বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া মজিদুল ইসলাম ও আব্দুস সবুর আলীর পরিবারের সাথে কথা বলা হলে তাঁরা বলেন, অনেক কষ্ট করে শিবনদী বিলে মাছ স্বীকারের জন্য এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে জাল কিনা হয়েছিল। কিন্তু মৎস্য অফিসের অভিযানে জাল গুলো বিল থেকে তুলে পুড়িয়ে দেয়া হয়। যার কারণে পরিবারের মুখে দুমুঠো খাবার তুলে দেয়ার শেষ সম্বল জাল পুড়িয়ে ফেলায় চরম হতাশা হয়ে পড়েন মজিদুল ও সবুর আলী। তার ভিতরে এনজিওর কিস্তি পরিশোধ করতে একের পর এক মামলার হুমকি দিয়ে নোর্টিশ দেয়ায় আতংকে বাড়ি ঘর ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় বাড়িতে আমরা ছেলে মেয়ে নিয়ে চরম মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলে তাঁরা জানান।
এবিষয়ে বেসরকারী সংস্থা বাইস এনজিওর তানোর শাখার ম্যানেজার তৌফিকুর রহমান মামলার হুমকি ধামকি দেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, মৎস্য জীবী হোক আর ব্যবসায়ী হোক কোন ছাড় নেই। ঋণ নিয়েছে কিস্তি পরিশোধ করতেই হবে। এতে বাড়ি ভিটা বিক্রি করে হলেও কিস্তি আদায় করা হবে বলে আর কোন মন্তব্য করতে রাজি নন তিনি।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনওর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এনজিও থেকে গরীব অসহায় মানুষের মাঝে ঋণ সহায়তা দেয়ার নিয়ম আছে কিন্তু জোর করে মামলার হুমকি ধামকি দিয়ে কিস্তি আদায় করার কোন সুযোগ নেই। যদি এরকম হয়ে থাকে তাহলে খোঁজ খবর নিয়ে সে এনজিওর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *