স্বদেশ বাণী ডেস্ক: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ভর্তি সাক্ষাতকারে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞপ্তিতে শূন্য ৭৯টি আসনের বিপরীতে সাক্ষাতকারে আহবান করা হয়েছে ৯ হাজার ৯২৪ জন ভর্তিচ্ছুকে। শনিবার অনুষ্ঠিত এ সাক্ষাতকারে অংশ নেয় প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী। সাক্ষাৎকারে দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর সাক্ষাতকার নেওয়া হয়। সিট শূন্য না থাকায় বাকি শিক্ষার্থীদের শুধু সান্ত¡নামূলক গণস্বাক্ষর নিয়ে বিদায় দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভর্তিচ্ছুরা।
কর্তৃপক্ষের অদূরদর্শিতায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা।
জানা যায়, প্রথম তিন ধাপে মেধা তালিকার ভর্তি শেষে বিভাগের ৮০টি আসনের মধ্যে ৭৯টি আসন শূন্য থাকে। আসন পূর্ণ করতে ১৪ ফেব্রুয়ারি গণবিজ্ঞপ্তি দেয় কর্তৃপক্ষ। এতে ‘বি’ ইউনিটের চতুর্থ ধাপের সাক্ষাৎকারের বাইরে পৃথক সাক্ষাৎকারের তারিখ ঘোষণা করা হয়। ওই ইউনিটের ১ হাজার ৪২৬ থেকে ১১ হাজার ৩৫০ মেধাক্রমে থাকা ৯ হাজার ৯২৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে আরবি ভাষা ও বিভাগে ভর্তি হতে আগ্রহীদের সাক্ষাৎকারে ডাকা হয়।
শনিবার সাড়ে ৩ হাজার মেধাক্রম পর্যন্ত মোট ২ শতাধিক শিক্ষার্থীর সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। সকাল থেকে অপেক্ষা করেও দিন শেষে বাকি ভর্তিচ্ছুকে সাক্ষাৎকার না দিয়ে শুধু গণস্বাক্ষর করে ফিরে যেতে বলা হয়। তবে ঠিক কত সংখ্যক শিক্ষার্থী সাক্ষাৎকার ও গণস্বাক্ষর দিয়েছেন তা জানাতে পারেনি ইউনিট সমন্বয়করা।
ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দেখে চট্টগ্রাম থেকে সাক্ষাতকার দিতে আসা শিক্ষার্থী সাইদুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, সকাল ৯টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে বিকাল ৫টার দিকে গণস্বাক্ষর দিয়ে চলে যেতে বলেছে। অল্প সংখ্যক আসনের বিপরীতে এতো শিক্ষার্থীকে না ডাকলে এভাবে ভোগান্তি পোহাতে হতো না। এতদূর থেকে এসেও সাবজেক্ট না পেয়ে শুধু সান্ত¡না স্বাক্ষর দিয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে।
নীলফামারী থেকে মেয়ে সুমাইয়া আক্তারকে সাক্ষাতকার দিতে নিয়ে এসেছেন সাহাবুদ্দিন। তিনি যুগান্তরকে বলেন, গত রাত ৩টায় পৌঁছেছি। সকাল থেকে মেয়েকে লাইনে দাঁড়িয়ে রেখে অপেক্ষা করছি। শেষে শুনি সাবজেক্ট খালি নেই। শুধু নাম লিখে চলে যেতে বলেছে। রাতের গাড়িতে সিট পেলে বাড়ি চলে যাব। শুধু শুধু তিন হাজার টাকা খরচ করে নাম লিখে চলে যেতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে ‘বি’ ইউনিটের সমন্বয়কারী প্রফেসর ড. দেবাশীষ শর্মা বলেন, এত শিক্ষার্থী সাক্ষাৎকার দিতে আসবে আমরা ভাবতে পারিনি। প্রথমদিকে দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর সাক্ষাৎকার ভালোভাবে নেওয়া হয়েছে। বাকিদের শুধু স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। তবে মোট কতজন স্বাক্ষর করেছেন তা হিসাব করা হয়নি।
স্ব.বা/ রু