তানোরে মশার জালায় অতিষ্ঠ পৌরবাসী

রাজশাহী লীড

তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে মশার জালায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে পৌরবাসী। নিধনের নেই কোন ধরনের উদ্দ্যোগ। এতে করে প্রচুর ক্ষোভ বাড়ছে জনসাধারণের মাঝে। সেই সাথে চরম আতঙ্কে পড়ছেন যাদের ঘরে শিশু সন্তান রয়েছে তারা। কারন এ মশার কামড়ে ডেঙ্গু নিমুনিয়া সর্দি জরসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। একদিকে আবহাওয়া পরিবর্তন দিনের বেলায় প্রচন্ড খরতাপ রাতে তেমন ঠান্ডা না থাকলেও পড়ছে কুয়াশা । এসময়টা শিশুদের উপর অতি যত্ন বান হতে পরামর্শ দিচ্ছেন শিশু বিশেষজ্ঞরা।বাহিরের খাবার না খেয়ে বাড়ির তৈরির খাবার খাওয়ানো এবং মশারি ব্যবহার করতে হবে।এদিকে মশক নিধনে এখনো পর্যন্ত পৌরসভা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ক্ষোভ বাড়ছে নাগরিকদের মাঝে ।

জানা গেছে, সাতটি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত তানোর উপজেলাটি।উপজেলার সদর বলতে তানোর পৌরসভাকেই বোঝায়। বিগত ১৯৯৫ সালের দিকে পৌরসভাটি প্রতিষ্ঠিত হয়।১৯৯৯ সালে প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ প্রায় ২৬ বছরেও তিল পরিমাণ নাগরিক সেবার মান বাড়েনি। সেবার মান না বাড়লেও বেড়েই চলেছে অনিয়ম দুর্নীতি। পরপর পাচটি নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের জীবন মান বাড়লেও বাড়েনি নাগরিক সেবার মান।উল্টো জনদূর্ভোগ বেড়েছে কয়েকগুন। অবাক করার বিষয় যখন যিনি নির্বাচিত হন তখনই ৮/১০ জন কে মাষ্টার রোলে চাকুরী দিয়ে থাকেন।অথচ পৌরসভার বিদ্যুৎ বকেয়া পড়ে রয়েছে প্রায় ২০ লাখ টাকার উপরে, টেলিফোন বিল এক লাখ টাকা বকেয়া, নিয়মিত বেতন না হলেও কর্মকর্তা কর্মচারীতে ঠাসা।

সুত্রে জানা যায়, বিগত চারটি নির্বাচনে বিএনপির নেতারা মেয়র নির্বাচিত হন।কিন্ত গত ২০২১ সালে প্রথমবারের মত নৌকা প্রতীকের মেয়র হন ইমরুল হক।তিনি ভোটের সময় উন্নয়নের ফুলঝুরি ছড়িয়ে ভোটারদের আকৃষ্ট করেন । যা উন্নয়ন হয়েছে তা অতীতের বরাদ্দ থেকেই। তবে ইমরুল মেয়র হওয়ার পর দুটি বাইক চুরি হয় পৌরসভার ভিতর থেকে।কিছুটা হলেও জীবন মান বেড়েছে কর্তা বাবুদের।
দলীয় সুত্রে জানা গেছে, ইমরুল হক তানোর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি স্হানীয় সাংসদের বিরুদ্ধে রাজনীতি করতে গিয়ে সাংগঠনিক ভাবে বিছিন্ন হয়ে পড়েছেন। আগামীতে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংসের মুখে পড়তে যাচ্ছে বলেও মনে করছেন তৃনমূলের নেতাকর্মীরা।

বিগত ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারীর ১৪ তারিখে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। মার্চে হয় শপথ। দায়িত্ব নেওয়ার পর আগের মেয়রের প্রায় চার কোটি টাকার কাজসহ জিওল গ্রামের চাষীদের সুবিধার্থে বিলের মধ্যে মাটির রাস্তা করে দিয়েছেন। যার কারনে ওই এলাকার কৃষকরা মেয়রকে সাদুবাদ জানিয়েছেন।

পৌর সদর শীতলি পাড়া মহল্লার নাগরিক আজিমুল, বিশু, জলিল সহ অনেকে জানান, মশার এতই জালা বলার মত না। রাতদিন সমান ভাবে মশার উপদ্রব। কোথাও বসে থাকা যায় না। আমাদের পাড়া বিল সংলগ্ন,চারদিকে ধানী জমি। যার কারনে বিভিন্ন প্রজাতির মশার জালা সহ্য করতে হয়। কিন্তু কোনদিন মশক নিধনের কোন ব্যবস্হায় নাই। আমরা পৌরসভার নাগরিক বলতেই কেমন লাগে। মশার এতো উপদ্রব তারপরও কোনই ব্যবস্হা নেই।

সচেতন নাগরিকরা জানান, এসময় মশা নিধন করা সময়ের দাবি হয়ে পড়েছে। এখনই ব্যাপক ভাবে মশার ঔষধ স্প্রে করে নিধন করতে হবে।যদিও জঙ্গল এলাকার পৌরসভা। এজন্য নিজেদেরকেও সতর্ক থাকতে হবে। কারন দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টির পানি না হওয়াতে অতিরিক্ত মশার যন্ত্রণা।

পৌরসভার বেশকিছু কর্মকর্তারা জানান, অতীতে যে ঔষধ স্প্রে করা হত তার মান অনেক কম।আর এখন মশারও প্রকার অনেক।এজন্য ঔষধের ধরন পাল্টে না দিলে আগের ঔষধ স্প্রে করার চেয়ে না করায় ভালো এবং মশক নিধনে যে পরিমান বরাদ্দ দেওয়া হত, সেটা বাড়ানো সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে। এসব গ্রামীণ এলাকা ঝোপ ঝাড় বেশি। একারনে মশার উপদ্রবও অতিরিক্ত।
মেয়র ইমরুল হক জানান,মশক নিধনের বরাদ্দ পাওয়া মাত্রই কাজ শুরু হবে। অতীতে কি হয়েছে বা হয়নি সেটা আমার দেখার বিষয় না।জনগন আমাকে যে আশা নিয়ে ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচিত করেছে, তাদের আশা যেন পুরন করতে পারি এবং কোন বরাদ্দেই নয়ছয় হবে না।আমি এসেছে সেবা করতে শোষণ করতে না। তার অনেক কিছুই আমি করেছে।মশক নিধন অতি শীঘ্রই শুরু হবে বলে জানান তিনি।

 

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *