বাঘা প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘায় একটিতে জরিমানাসহ সাতটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকস সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহীর কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মাসুম আলী বলেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ রিএজেন্ট ব্যবহার ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনা করার অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯/৫২ ধারায় উপজেলা সদরের সেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার’কে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার (৩০ মে) উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর আব্দুল হান্নানকে নিয়ে এ অভিযান চালান। অভিযান অব্যহত থাকবে বলে জানান তিনি।
অপরদিকে বিকেল সাড়ে ৫টায় উপজেলা সদরে আমেনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নিবার্হী ম্যজিস্টেস্ট্র জুয়েল আহম্মেদ। সরকারি নিবন্ধন না থাকায় আমেনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি। আমেনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বত্তাধিকারি জাহিদুল ইসলাম বলেন, অনুমোদনের জন্য আবেদন করা আছে।
বন্ধকৃত সাতটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকস সেন্টারগুলো হলো- উপজেলার বিনোদপুর বাজারের উপশম মেডিকেল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিকস সেন্টার, হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিকস সেন্টার, উপজেলা সদর এলাকার মাহমুদ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকস সেন্টার, বাঘা ক্লিনিক,আড়ানী পৌর এলাকার মুঞ্জু ডিজিটাল ডায়াগনস্টিকস সেন্টার, নাদিরা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিকস সেন্টার ও আইডিয়াল ডায়াগনস্টিকস সেন্টার।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.আসাদুজ্জামান জানান, উপজেলায় ২৫টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশমতে সোমবার ও রোববার অভিযান চালিয়ে সাতটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এদের বেশির ভাগেই লাইসেন্সের মেয়াদ নেই। পরিদর্শন করে লাইসেন্স নবায়ন করে দেওয়া সম্ভব হয়নি। যারা লাইসেন্স নবায়নের জন্য আবেদন করে রেখেছেন তাদের বিরুদ্ধে আপাতত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। আর যাদের লাইসেন্স নেই কিংবা অনেক আগে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, যেসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেনি, সেগুলো অবৈধ।