তানোর প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোরে নিষেধাজ্ঞা সত্বেও রমরমা ভাবে চলছে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলো। মুন্ডুমালা ডায়াগনস্টিক সেন্টার পদ্মা ও আসনারা ক্লিনিকও চলছে একই ভাবে। কয়েকদিন আগে সিভিল সার্জন অভিযান দিলে তারা টের পেয়ে পালিয়ে যান। তারপরও বাহিরে তালা লাগিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসা। এসব ক্লিনিকে রোগী মরার অভিযোগও রয়েছে অহরহ। কিন্তু রহস্য জনক কারনে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অনৈতিক সুবিধার মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠান চালু করতে দেন বলেও নিশ্চিত হওয়া গেছে। না হলে প্রকাশ্যে কিভাবে সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে খেলার নামে করে ব্যবসা।
সরেজমিনে দেখা যায়, তানোর টু মুন্ডুমালা রাস্তার মুন্ডুমালা পুরাতন পুলিশ ফাঁড়ির পূর্ব দিকে মুন্ডুমালা ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে কোন অনুমোদন ছাড়াই চলছে। সম্প্রতি জেলা সিভিল সার্জন অভিযান চালিয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টার টি বন্ধ করে দেন। অভিযানের সময় ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক তোহিদ পালিয়ে যান। তার পরেও দিন থেকে আগের নিয়মেই চলছে।
ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বাহিরে বন্ধ ছিল, ডাকতেই এক মহিলা দরজা খুলে দেন। ভিতরে রিসিভ সন ও রোগী বসার কয়েকটি চেয়ার। পরের বিশাল রুমে শিক্ষার্থী বসার অনেক বেঞ্চ। আসেন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক প্রকাশ নগর গ্রামের হাজি আব্দুল মালেকের পুত্র তোহিদ তিনি জানান বেঞ্চে বাড়ির মালিক শিক্ষক করিম প্রাইভেট পড়ায়, উপর তালায় সবকিছু আছে, সিভিল সার্জন থেকে অনুমতি নিয়ে করছি বলে দম্ভোক্তি প্রকাশ করে চলে যান। জোহরের নামাজ শেষে অনেকে এসে বলেন কোনদিন ডাক্তার দেখলাম না, অথচ সাইনবোর্ডে কত ডাক্তারের নাম। এরা অসহায় দরিদ্র মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করে। শুধু এই প্রতিষ্ঠান না আসনারা ও পদ্মা নামের আরেক ক্লিনিকেরও একই অবস্থা। এদেরকে কেন সরকার জেল দেয় না। তারা সমাজের বড় অপরাধী।
জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান কোনভাবেই এসব প্রতিষ্ঠান চলবেনা মর্মে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া আছে। তারপরও চালালে আইনগত ব্যবস্থা, কোন ছাড় না।
স্ব.বা/বা