স্বদেশ বাণী ডেস্কবাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশনের (বিজেএমসি) চেয়ারম্যানের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করেছেন শ্রমকিরা।সোমবার (২০ জুন) বিকেলে পাটকল রক্ষায় শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্য পরিষদ কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন।সংগঠনটির আহ্বায়ক রুহুল আমিন জানান, চার দফা দাবিতে সোমবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ করেন তারা। পরে দাবি আদায়ে বিজেএমসি কার্যালয় ঘেরাও করে তার সামনে অবস্থান নেন।
এদিন বিকেল ৫টার দিকে আন্দোলনকারীদের ৮ সদস্যের প্রতিনিধিদল বিজেএমসি চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সালেহউদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় দাবি-দাওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।আন্দোলনকারীদের দাবিগুলো হলো- বন্ধ থাকা খালিশপুর জুটমিল, দৌলতপুর জুটমিল, জাতীয় জুটমিল, আর আর জুটমিল ও কে এফ ডি জুটমিলের এরিয়ার টাকাসহ সব ধরনের বকেয়া পাওনা অবিলম্বে পরিশোধ করা। রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকলগুলো অনতিবিলম্বে রাষ্টীয় উদ্যোগে চালু করা। নাম জটিলতায় ভুক্তভোগী হওয়া স্থায়ী-বদলি শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ করা। শ্রমিকের নামে দায়ের করা মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলা প্রত্যাহার করা।
এসময় শ্রমিক নেতা শহিদুল ইসলাম বলেন, ২০২০ সালে বন্ধ হওয়া ৫টি পাটকলের প্রায় ১১ হাজার শ্রমিকের এরিয়ার টাকাসহ বেতন বকেয়া রয়েছে। করোনাকালে দীর্ঘদিন ধরে আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি। অবিলম্বে আমাদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করতে হবে। অন্যথায় আমাদের আন্দোলন চলবে।এর আগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশে শ্রমিক নেতারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সোনালি আঁশ খ্যাত পাটপণ্যের চাহিদা এখন বিশ্বব্যাপী ব্যাপক হারে বাড়ছে। এর ফলে পাট ও পাটপণ্যের সুদিন ফিরলেও সরকার উল্টো পথে হাঁটছে। এতে দেশের অর্থনীতিতে এই খাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ থাকলেও সেটি থমকে আছে।
তারা জানান, লোকসানের কারণে ২০২০ সালে একযোগে রাষ্ট্রায়ত্ত ২৫টি পাটকল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে ৫টি ছাড়া বাকিগুলোর বকেয়া পরিশোধের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এই ৫ পাটকলের শ্রমিকরা তাদের বকেয়া পরিশোধে আন্দোলনে নামেন। সেই সঙ্গে বন্ধ থাকা পাটকলগুলো আবার চালু করার দাবিও জানান তারা।
স্ব.বা/ রু