স্বদেশ বাণী ডেস্ক:ষাঁড়টির নাম ‘বস’। নাটোরের বড়াইগ্রামের ভান্ডারদহ গ্রামের মুদি দোকানি শফিকুল ইসলামের লালন করা গরুটি নামের মতো দেখতেও বিশালাকার। বাহারি নামের গরুটি ইতোমধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে এলাকায়। প্রান্তিক পর্যায়ের খামারি শফিকুল ইসলাম নিজের সবটুকু শ্রম আর সামর্থ্য দিয়ে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে তিন বছর ধরে পালন করেছেন গরুটি। আসন্ন কোরবানিতে ন্যায্যমূল্যে গরুটি বিক্রির প্রত্যাশা করছেন তিনি।
সরেজমিন ভান্ডারদহে দেখা যায়, শফিকুল ইসলাম ফ্রিজিয়ান জাতের ৩৬ মণ ওজনের একটি গরু লালন পালন করেছেন। গরুটিকে ঘিরে জটলা পাকিয়ে আছেন গ্রামের নানা বয়সী মানুষ। দেশীয় খাবার এবং পরম যতেœ বেড়ে ওঠা গরুটির ভালোবেসে নাম রেখেছেন বস। বসকে ঘিরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এলাকাজুড়ে।
খামারি শফিকুল ইসলাম জানান, তিন বছর আগে পাশের গ্রাম থেকে গরুটি কিনেছিলেন তিনি। তারপর থেকেই অত্যন্ত যতœসহকারে তিনি ও তার স্ত্রী গরুটি লালন পালন করছেন। মুদি দোকান থেকে তার যা আয় হয় তার বড় একটা অংশ বসের পেছনে খরচ হয়। গরুটির খাদ্য তালিকায় রয়েছে- ধান, গম, ভুট্টা, খেসারি ও ছোলার মিশ্রণ। প্রতিদিন বসের পেছনে ৭-৮শ টাকা খরচ হয়। গত দুই মাস ধরে প্রতিদিন খরচ হচ্ছে এক হাজার টাকা করে।
শফিকুল আরও জানান, গরুটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে তিনি লালন পালন করেছেন। তাকে কখনো বাসি পঁচা খাবার খাওয়ানো হয়নি। স্বভাবেও অনেকটাই শান্ত। এটাই জেলার সবচেয়ে বড় গরু বলে দাবি করেন তিনি। আসন্ন কোরবানিতে তার প্রত্যাশা কোনো বিত্তবান ব্যক্তি ন্যায্যমূল্যে গরুটি কিনে নিলে তিনি বেশ উপকৃত হবেন। অন্তত ১০ লাখ টাকায় গরুটি বিক্রির প্রত্যাশা তার।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ডা. আলমগীর হোসেন জানান, চলতি বছর উপজেলায় ৬৩ হাজার ১১৬টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত হয়েছে; যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যাবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিরা গরুগুলো লালন পালন করেছেন। ৩০-৩৬ মণ ওজনের বড় গরুগুলো বিক্রির জন্য অনলাইন প্লাটফর্ম ছাড়াও বড় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। এবার গরু বিক্রি করে খামারিরা লাভবান হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
স্ব.বা/ রু