আদালতে দোয়া পড়তে পড়তে সাব রিনা বললেন, ‘আল্লাহ ভরসা,

জাতীয় লীড স্বাস্থ্য

স্বদেশবাণী ডেস্ক : কোভিড-১৯ পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার মামলায় রায় ঘোষণার জন্য ’আদালতে তোলার সময় বিমর্ষ ছিলেন জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারপারসন ডা. সাবরিনা চৌধুরী।এজলাশ কক্ষে তিনি দোয়া পড়ছিলেন। কী আশা করছেন— রায়ের আগে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘আল্লাহ ভরসা। আল্লাহ আমার সব সময় ভালো চেয়েছেন।’

এর কিছুক্ষণ পরই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। এতে ডা. সাবরিনা ও তার স্বামীসহ মামলার আট আসামির ১১ বছর করে কারাদন্ড দেওয়া হয়।

রায় ঘোষণার আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাদের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয়। তাদের রাখা হয় আদালতের হাজতখানায়। পরে তাদের আদালতে ওঠানো হয়।

গত ২৯ জুন ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।

প্রসঙ্গত ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই জেকেজি
হেলথকেয়ার ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয়। এর বেশিরভাগই ভুয়া বলে ধরা পড়ে। এ অভিযোগে ২০২০ সালের ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করা হয় এবং দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।

এর আগে গত বছরের ৫ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে দুপুরে সাবরিনা ও আরিফসহ আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী। চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন— আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা।

চার্জশিটে সাবরিনা ও আরিফকে প্রতারণার মূলহোতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিরা প্রতারণা ও জালিয়াতি করতে তাদের সহযোগিতা করেছেন।

গত বছরের ২০ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারী আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এ সময় তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন। বর্তমানে মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের অবস্থায় রয়েছে।

স্ব.বা/রু

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *