রায়ের প্রতিক্রিয়ায় যা বললেন ডা. সাবরিনা

জাতীয়

স্বদেশবাণী ডেস্ক : কোভিড ১৯-এর নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী এবং তার স্বামী ও প্রতিষ্ঠানটির সিইও আরিফুল চৌধুরীসহ আটজনকে ১১ বছর করে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১১ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় আসামিদের সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।রায় কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না ডা. সাবরিনা। সাজা বেশি হয়ে গেছে বলে মনে করেন তিনি।

রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের চাকরিচ্যুত চিকিৎসক সাবরিনা বলেন, আমি চেয়ারম্যান ছিলাম না— এই সাজা কীভাবে হলো? কী হবে বুঝতে পারছিলাম, কিন্তু এতটা হবে বুঝতে পারিনি। তিনি এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলেও জানান।

আদালতের এ রায়ে সন্তুষ্ট নন ডা. সাবরিনার আইনজীবী প্রণব কান্তি ভৌমিকও। উচ্চ আদালতে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন তিনি।

সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফুল ছাড়া মামলার বাকি ছয় আসামি হলেন— আরিফুলের বোন জেবুন্নেছা রিমা, সাবেক কর্মচারী হুমায়ুন কবির হিমু ও তার স্ত্রী তানজিলা পাটোয়ারী, জেকেজির কোঅর্ডিনেটর আবু সাঈদ চৌধুরী, জেকেজির কর্মচারী বিপুল দাস ও শফিকুল ইসলাম রোমিও।

মহামারির প্রথম বছর জেকেজির জালিয়াতির ঘটনাগুলো প্রকাশ্যে এলে সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এর সঙ্গে সরকারি চাকরিতে থাকা চিকিৎসক সাবরিনার যোগসাজশ বিষয়টিকে নতুনমাত্রা দেয়।

প্রসঙ্গত ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই জেকেজি হেলথকেয়ার ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয়। এর বেশিরভাগই ভুয়া বলে ধরা পড়ে। এ অভিযোগে ২০২০ সালের ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করা হয় এবং দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।

এর আগে গত বছরের ৫ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে দুপুরে সাবরিনা ও আরিফসহ আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী। চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন— আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা।

চার্জশিটে সাবরিনা ও আরিফকে প্রতারণার মূলহোতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিরা প্রতারণা ও জালিয়াতি করতে তাদের সহযোগিতা করেছেন।

গত বছরের ২০ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারী আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এ সময় তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন। বর্তমানে মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের অবস্থায় রয়েছে।

স্ব.বা/রু

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *