রাজশাহীতে ৭ ঘন্টায় ৬ বারের বেশি লোডশেডিং, চরম দূর্ভোগে জনসাধারন

বিশেষ সংবাদ রাজশাহী লীড

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সিটি মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন শহরের রাস্তার লাইটগুলোর আলো কমিয়ে দিয়েছেন গতকাল শনিবার। অন্যদিকে, রোববার (৩১ জুলাই) দুপুর থেকে রাত সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত ৬ বার লোডশেডিং এ দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সাধারণ মানুষেরা। যেখানে সরেজমিনে গেলে সাধারণ দোকান ব্যবসায়ীরা অভিযোগ জানান স্বদেশ বাণীর প্রতিবেদককে।

স্থানীয়রা জানান,  এ যেন দফায় দফায় লোডশেডিং। রাজশাহী নগরীর তেরখাদিয়া, খ্রিষ্টানপাড়া কলোনী, মালদা বউ বাজার, সোনাতলা মোড়সহ বেশ কিছু এলাকায় বিকেলে এই অমানবিক লোডশেডিং হয়েছে।

চায়ের স্টল, হোটেল, ইলেক্ট্রনিক্স পন্যের দোকানসহ বেশ কিছু দোকানীরা এই লোডশেডিং এর ফলে দূভোর্গের কথা জানিয়েছেন।

সোনাতলা মোড় থেকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চা বিক্রেতা কিছু প্রশ্ন ছুঁড়ে বলেন, সড়কের বাতি কমিয়েও কি বিদ্যুৎ সাশ্রয় হচ্ছে না? নাকি, লোডশেডিং দিয়েও ‍উন্নয়ন করছে? লোডশেডিং দিয়ে ব্যবসার বারোটা বাজিয়ে কিসের উন্নয়ন হবে? সারাদিন ব্যবসা করতে পারিনি। চা তৈরিতে যে গ্যাস ব্যবহার করছি, সকাল হলেই সেই টাকা দিতে হবে।সারাদিনে গরমের প্রখরতায় কাস্টমার ভেড়েনি। কারন, লোড শেডিং। কিভাবে আমরা দুইটা টাকা শান্তিমত আয় করবো।

মালদাহ কলোনী বৌ বাজার থেকে কাপড় ব্যবসায়ীরা জানান, কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। সারাদিনে এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ থাকবে শুনেছিলাম। কিন্তু দুপুর থেকে রাত অবধি ৭ বারের বেশি লোডশেডিং। কাস্টমাররা এসে গরমে রাগ দেখাচ্ছে। বিক্রিও কম। সবাই ঘামছে।

রাত ৮ টায় বিদ্যুৎ না থাকায় হোটেল ব্যবসায়ীরা বলেন, ছামুছা, সিঙ্গাড়া বিক্রি করতে পারলাম না। কিছু কিছু কাস্টমার প্রতিদিন ফ্যানের নিচে বসে খাবার খেত। আজ সন্ধ্যেও লোডশেডিং হয়েছে। রাতে আবার বৃষ্টি শুরু হলো।

সচেতন মহল জানান, সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। বিদ্যুতের দামও বেড়েছে। উন্নয়নমূলক কাজের জন্য লোডশেডিং হলে অবগত করা ‍উচিত। আর এত লোডশেডিং হলে ঘরেও থাকতে পারবে না্ মানুষ । আর আগের মত বড় বড় গাছ নাই যে, ছায়ায় গিয়ে বসে থাকবে। বিদ্যুতের ছলাকলা অনেকটা ফাঁকিবাজির পরিচয় দিচ্ছে। স্বয়ংসম্পূর্ণ রাজশাহী চাই। যা প্রয়োজনীয় তার অপচয় রোধ করতে ব্যবস্থা নিতে হবে। এখন মানুষ বিদ্যুতের ওপর সকল কাজেই নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। ঘরে বা অফিসে ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, ফ্রিজ, টেলিভিশন, ফ্যান, এসিসহ সব কিছুতেই বিদ্যুৎ লাগবে। সবাই তো আর আইপিএস বা চার্জার ব্যবহার করে না। রাজশাহী শহরের সরকারি কর্মকর্তাদের এই বিষয়গুলো নজরে রাখলে সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হবে না।

ইউসেপ স্কুলের মাইশা নামের একজন স্কুল শিক্ষিকা জানান, নারীরা পরিবার সামলাতে ব্যস্ত থাকে। আর ঘরেই বেশি সময় থাকতে হয়।দিনের বেলা্ এত লোডশেডিং হলে বাচ্চারা পড়ালেখায় মন দিতে পারছে না।

স্ব.বা/ম

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *