তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর

শিক্ষা

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: রাজধানী ঢাকায় বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে লাখো শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন। যার সিংহভাগই গ্রাম থেকে ওঠে আসা নিম্নবিত্ত বা মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। এদের একটি বড় অংশ নিজেদের সুবিধামতো নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে গণপরিবহনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করেন। সম্প্রতি জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে বেশ বিপাকে পড়েছেন এসব সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কারণ তাদের মাসিক গড় ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে মেস ভাড়া থেকে শুরু করে খাওয়া-দাওয়া এমনকি শিক্ষা উপকরণ কেনাকাটায়। তেলের হঠাৎ ঊর্ধ্বমুখীতার প্রভাব শিক্ষার্থীদের ওপর কেমন পড়েছে সেটাই জানার চেষ্টা করেছেন

হুট করে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায়। বেশি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে স্বল্প দূরত্বের যাত্রীরা। কারণ কম দূরত্বের ভাড়া প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে সর্বনিম্ন ভাড়া ধরা হয়েছে ১০ টাকা। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে শিক্ষার্থীদের ওপরে। তাদের গুণতে হচ্ছে প্রায় দেড়গুণ থেকে দ্বিগুণ ভাড়া। বেশি লাভের আশায় বাসচালক-হেলপার স্বল্প দূরত্বের যাত্রীদের, বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের গাড়িতে তুলতে অনীহা প্রকাশ করছেন।

জেলা ও মফস্বল শহরে এর প্রভাব আরও বেশি। স্কুল-কলেজের পোশাক পরিহিত ছাত্র-ছাত্রীদের দেখামাত্রই গাড়ি থামানোর পরিবর্তে গতি বাড়িয়ে চলে যায় গণপরিবহনগুলো। সময়মতো গাড়ি না পাওয়ায় তাদের ক্লাসে পৌঁছাতে বিলম্ব হচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে পাঠ্যসূচিতেও। সবমিলিয়ে দেশের শিক্ষার্থীরা অসহনীয় দুর্ভোগে সময় পার করছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ খুবই দ্রুত এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে আশাবাদী।

নতুন করে তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অধিকাংশ বাসে সরকারের সর্বনিম্ন ভাড়ার (১০ টাকা) নির্দেশ অমান্য করে ১৫ টাকা করেছে। তাই বাস ভাড়ার বিষয়টি কঠোরভাবে মনিটরিং করার জন্য দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ মানুষদের ওপর বোঝা হয়ে যাচ্ছে। যার ভুক্তভোগী নিম্নআয়ের মানুষরা।

ছাত্রজীবনে কিছুটা খরচ নিজেই চালাতে হয়। তবে বর্তমানে যে পরিস্থিতি তাতে ঢাকাতে অবস্থান করা ছাত্রদের জন্য অসম্ভব হয়ে পড়েছে। কারণ একটা পর্যায়ে এসে অভিভাবকরা টাকা দিতে পারে না। কারণ তাদের আয় তো বাড়েনি। ফলে ঢাকার চলমান জীবনমান ব্যয় নির্বাহ করতে ছাত্রদের অনেক কষ্ট হয়ে যায়। সরকারের উচিত সবকিছু বিবেচনায় রেখে তেলের দাম সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা।

সাম্প্রতিক যে বিষয়টি সাধারণ শিক্ষার্থীদের জীবন ধারণের ক্ষেত্রে বিরাট সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা হচ্ছে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি। তেলের হঠাৎ মূল্যবৃদ্ধির ফলে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী বিভিন্নভাবে দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন। কারণ শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগ বাস দিয়ে চলাচল করে থাকেন। হঠাৎ জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে সকল যানবাহনের ভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে রাজধানীসহ দেশের সকল শিক্ষার্থীদের আগের তুলনায় অধিক ভাড়া দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হচ্ছে। যা কিনা আমাদের মতো সাধারণ শিক্ষার্থীদের কষ্টের কারণ।

এই মুহূর্তে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে শিক্ষার্থীদের সাত কলেজসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা। এতে করে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসছেন। কিছুদিন পর ঢাবি অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। যেখানে এক লাখেরও বেশি পরীক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষা দিতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে রাজধানীতে আসবেন। হঠাৎ ভাড়া বৃদ্ধির ফলে অনেক দরিদ্র পরিবারের পক্ষে সেই যাতায়াত ব্যয় বহন কঠিন হয়ে পড়বে। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে রাজধানীর সকল গণপরিবহনের হাফ পাশ নিয়ম থাকলেও মানছেন না অনেক বাসের সুপারভাইজার। যাতে করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছেন।

স্ব.বা / রু

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *