তানোরে বাবাকে পাগল সাজিয়ে সন্তানদের মামলা

অন্যান্য রাজশাহী লীড

তানোর প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোরে জন্মদাতা পিতার বিক্রি করা জমি ফেরত পেতে পাগল উম্মাদ বিবৃত মস্তিষ্কের অধিকারী আখ্যা দিয়ে আদালতে মামলা করেন সন্তানরা। জন্মাদাতা পিতাকে পাগল বানিয়ে আদালতে মামলা করা হলেও লাভ হয়নি সন্তানদের। কেননা, তাঁদের বাবা যে পাগল সেটার কোন প্রমান দিতে না পারায় মামলাটি খারিজ হয়ে যায়।

তানোর উপজেলা বাধাইড় গ্রামে এমন চাঞ্চল্যকর লোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটে । এমন ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী সন্তানদের প্রতি ফুঁসে উঠেছেন।
জানা গেছে, বিগত ২০২১ সালে অক্টোবর মাসে বাধাইড় মোজার আরএস ১২১ নম্বর খতিয়ানে আরএস ১৮৫ দাগে সিরাজুল ইসলাম সাংসারিক নানা সমস্যার জন্য ১৯ দশমিক ১৪ শতাংশ জমি ১ লাখ ৫২ হাজার টাকায় বিক্রি করেম। যার দলিল নম্বর ৪৬৯১/২০২১। সিরাজুলের কাছ থেকে জমি ক্রয় করেন বাধাইড় গ্রামের মৃত ইদ্রিশ আলীর পুত্র হাসেন আলী।

এমতাবস্থায় বিগত ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে সিরাজুল ইসলাম কে পাগল, মস্তিষ্ক বিকৃত সাজিয়ে তার পুত্র মনিরুল, শামসুল ও কন্যা কামরুন নেছা এবং সালমা খাতুন আদালতে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু মামলায় সিরাজুল পাগল মস্তিষ্ক বিকৃত এমন কোন প্রমান দিতে না পারায় চলতি বছরের মার্চ মাসে আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন। যার মামলা নম্বর ৪১৬/২১। এর বিরুদ্ধে মনিরুল আপিল করেছেন।

সিরাজুল ইসলাম জানান, আমি একজন সুস্থ সবল মানুষ। আমি দুবার মেম্বার ভোট করেছি। আর আমার সন্তান রা সামান্য ১৯ শতাংশ জমির জন্য পাগল মস্তিষ্ক বিকৃত, মানষিক রোগী নানা কিছু সাজিয়ে মামলা করেন। এমন সন্তান ভালো থাকতেই পাগল বানিয়ে ফেলছে। বৃদ্ধ বয়সে কি করবে বোঝায় যাচ্ছে। সন্তানরা যখন পাগল বলে এর চেয়ে সুভাগ্য বান পিতা আর কে হতে পারে।

কিন্তু মুখে আমাকে পাগল সাজালেও আদালত ঠিকই বুঝলেন আমি সুস্থ মানুষ।
জমি ক্রেতা হাসেন আলী জানান, যারা নিজের পিতাকে পাগল বলে, ওই সন্তানরা আরো কিছু করতে পারে। যদি সিরাজুল পাগল হত তাহলে দলিল সম্পাদন কিভাবে হয়। আর আমিই বা টাকা দিয়ে পাগলের জমি কিনব কেন। আসলে সিরাজুলের ছেলেরা আমার কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করে না দেওয়ার জন্য তারা এসব করছেন। যার কারনে গ্রামবাসীও ক্ষুব্ধ।

সিরাজুলের বড় ছেলে মনিরুল ইসলামের ব্যক্তিগত ০১৭২৮-২৪৬১৬৫ মোবাইল নম্বরে ফোন দিয়ে জানতে চাওয়া হয় আপনারা পিতা পাগল মস্তিষ্ক বিকৃত আখ্যা দিয়ে মামলা করেছেন আপনার পিতা সুস্হ হওয়ার পরও কেন পাগল বানিয়ে মামলা করলেন তিনি জানান আমি মামলার বিষয়ে কিছুই জানিনা আমার ছোট ভাই শামসুল বলতে পারবে। কিন্তু তার ছোট ভাই দুবাই থাকেন।পুনরায় মনিরুল কে মামলার বিষয়ে বললে তিনি কোন কথায় বলেন নি।

রোববারে বাধাইড় গ্রামের সিরাজুলের বাড়িতে যাওয়া হয়।কিন্তু তিনি ছিলেন না। তবে কয়েকজন মুরুব্বি জানান, সিরাজুল কোন পাগল না। তিনি পরপর দুবার ভোট করেছেন এবং তার আচার ব্যবহারও ভালো। জমি জমার বিষয়ে তার ছেলেরা এসব অপকর্ম করছেন।

স্ব.বা/ম

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *