তানোরে কৃষি কলেজে গোপন পরিক্ষা, জানেন না ইউএনও !

রাজশাহী লীড শিক্ষা

তানোর প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোর ( চাপড়া) কৃষি কলেজে বিভিন্ন সেমিস্টারের অতি গোপনে পরীক্ষা হচ্ছে বলে নিশ্চিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কোন সময় ক্লাস না হলেও স্হানীয় কিছু যুবকদের জালিয়াতির মাধ্যমে গাইড খুলে দেদারসে বিতর্কিত অধ্যক্ষ ইসাহাক আলীর নির্দেশে এমন অলৌকিক পরিক্ষা চলছে বলে জানা গেছে।

এদিকে উপজেলা প্রশাসন বা কৃষি দপ্তর কিছুই জানেন না। এতে করে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে শিক্ষার্থী শিক্ষক কর্মচারী ও স্হানীয়রা।

জানা গেছে, তানোর পৌরসভার ( চাপড়া) কৃষি কলেজের জালিয়াত অধ্যক্ষ ইসাহাক আলী চাপড় এতিম খানার জায়গা দখল ও মার্কেট ভাড়া করে চালিয়ে যাচ্ছেন কলেজ। বিগত ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে কৃষি কলেজ। ওই সময় ইসাহাক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হলেও ২০১৯ সাল থেকে তিনি অধ্যক্ষ হয়েছেন। অবাক করার বিষয় তিনি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ থেকে অবসরে যান। অবসরে গিয়েও জালিয়াতি করে হয়েছেন অধ্যক্ষ।

স্হানীয়রা জানান, কৃষি কলেজে কখনো ক্লাস নিতে দেখিনি। আবার কখন পরিক্ষা হয় তাও জানিনা, শুধু লাল কাপড় কঞ্চিতে করে পুতে রাখে। যেখানে শিক্ষার্থী নাই সেখানে পরিক্ষা কিভাবে হয় এবং এলাকার যুবকদের ধরে ধরে এনে পরিক্ষ হলে বসান।

অধ্যক্ষ ইসাহাক আলীকে পরিক্ষার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান গত ১০ কিংবা ১১ আগষ্ট থেকে সকল সেমিস্টারের পরিক্ষা হচ্ছে। আপনি অধ্যক্ষ কত তারিখে পরিক্ষ শুরু হয়েছে সেটাও জানেন না প্রশ্ন করা হলে জবাবে বলেন বয়স হয়েছে সব কি মনে থাকে। কত শিক্ষার্থী পরিক্ষা দিচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি জানান প্রায় ১০০ জনের মত। তাহলে বুঝতে হবে কাল্পনিক অধ্যক্ষের আজব কলেজে চলছে অলৌকিক পরিক্ষা। পরিক্ষার দায়িত্বে কোন কর্মকর্তা আছেন প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান কোন অফিসার নেই।

উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহর সাথে কথা বলা হলে তিনি জানান, কৃষি কলেজে পরিক্ষা হচ্ছে সে বিষয়ে কোন চিঠি পায় নি, মিটিংয়ে আছি খোঁজ নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পংকজ চন্দ্র দেবনাথ জানান, আমিও কোন চিঠি পায়নি।
পুনরায় ইসাহাক আলী কে ফোন দিয়ে চিঠি না দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, তুমি কি পাগল হয়ে গেছ, সবাইকে চিঠি দেওয়া আছে এবং ইউএনওর ওএসকে দেওয়া হয়েছে।

পুনরায় ইউনওকে অবহিত করলে তিনি জানান, কোন চিঠি পায়নি, আমিও মিটিংয়ে আছি শেষ করে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।

কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাজিম উদ্দীন জানান, চিঠি না দিয়ে পরিক্ষা কেন নিবে। মাঝে মাঝে এমন কিছু কাজ করে ইসাহাক যা সহ্য করার মত না। তিনি ২০১০ সালে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এখন কিভাবে অধ্যক্ষ হলেন প্রশ্ন করা হলে জবাবে বলেন তিনি কখনোই অধ্যক্ষ হতে পারবেন না।

স্ব.বা/ম

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *