রুয়েটের টেস্ট রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত বাগাতিপাড়ায় নির্মাণাধীন সড়কের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ ডিসির

রাজশাহী লীড

বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি: কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠায় ল্যাব টেস্টের লিখিত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত নাটোরের বাগাতিপাড়া-আড়ানী সড়কের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ। শুক্রবার সরেজমিনে সড়কটি পরিদর্শণ শেষে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাদের এ নির্দেশ দেন।

জানা গেছে, বাগাতিপাড়া উপজেলা এবং রাজশাহীর বাঘা উপজেলার সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগের জন্য ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে গালিমপুর ব্রীজ থেকে আড়ানী পর্যন্ত সাড়ে ৬ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের কাজ করছে নাটোর সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এই কাজটি করছেন নাটোরের ঠিকাদার আশফাকুল ইসলাম ও সুজিত সরকার। নির্মাণাধীন ওই সড়কের কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠলে শুক্রবার জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ আড়ানী-বাগাতিপাড়া সড়কটি পরিদর্শণ করেন। এসময় তিনি স্থানীয়দের সাথে কাজের মান নিয়ে কথা বলেন।

পরিদর্শন শেষে রুয়েট (রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে টেষ্টের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত সওজের কর্মকর্তাদের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। এসময় বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিয়াংকা দেবী পাল, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সুবাস কুমার সাহা, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী আফতাব হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নাটোরের সড়ক ও জনপথ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী আফতাব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আড়ানী-বাগাতিপাড়া সড়ক নির্মাণ নিয়ে রুয়েট থেকে মৌখিক ভাবে নিম্নমানের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু আমরা সেটা বিশ্বাস করিনি। আপাতত কাজ বন্ধ রয়েছে, টেস্টের কাগজ আসার পরই আমরা আবার কাজ শুরু করবো।

এদিকে গত ১০ সেপ্টেম্বর বিকালে ওই সড়কে প্রাইম কোট দেওয়া নিয়ে সহকারী প্রকৌশলী লিটন আহমেদ খানের সাথে ঠিকাদার আশফাকুল ইসলামের কথা কাটাকাটির অভিযোগ এনে বাগাতিপাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন সহকারী প্রকৌশলী লিটন আহমেদ খান।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ঠিকাদার আশফাকুল ইসলাম বলেন, সহকারী প্রকৌশলী অপপ্রচার চালিয়ে আমার সুনাম ক্ষুন্ন করেছে। এজন্য আমরা কাজ বন্ধ রেখেছি। তাছাড়া প্রকৃত ঘটনা উল্ল্যেখ করে আমরা সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর একটা অভিযোগ করেছি। বিষয়টি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা কাজ করবোনা।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *