তানোরে দাপটের সাথে হাবিবুরের পরকিয়া ও ধর্ষণ  

রাজশাহী
তানোর প্রতিনিধি: হাবিবুর রহমান দুই সন্তানের পিতা,তারপরও লিপ্ত হয় পরকিয়ায়,দৈহিক সম্পর্ক থেকে শুরু করে টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন লম্পট চোতুর এই হাবিবুর রহমান। তার বাড়ি রাজশাহীর তানোর পৌর সদর গুবিরপাড়া গ্রামে। সে আব্দুস সাত্তারের দুই নম্বর ছেলে। সাত্তার ডাকবাংলোর কেয়ারটেকারের চাকুরী করেন। সোমবার ওই পরকীয়া প্রেমিকা এবং হাবিবুর শীতলীপাড়া গ্রামের স্বপনের বাড়ীতে সময় পার করেন। হঠাৎ বিকেল প্রায় তিন টার দিকে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম সংলগ্ন শীতলী পাড়ায় ঘটে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি। এঘটনা ধামাচাপা দিতে মহিলাকে প্রচুর ভয়ভীতি ও চাকু গলায় ধরে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে হাবিবুর সহ বাড়ির মালিক। পরে স্হানীয় কয়েকজন ব্যক্তি আগামী শনিবারে সালিশ বিচার বসানোর কথা বলে সরিয়ে দেন। ফলে শীতলীপাড়ায় এমন ঘটনায় স্বপনের স্ত্রীর বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠছে। কারন বাড়িতে স্বপন থাকে না। সেই সুযোগে অনৈতিক কাজ চলে নিয়মিত বলেও নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, দীর্ঘ প্রায় ৫/৬ মাস ধরে ওই হাবিবুর চাকুরী পাবেন বলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং টাকাও নেই। এঅবস্হায়  চলতি মাসের ২২ আগষ্ট সোমবার দুপুরের দিকে ওই মহিলা আসেন ডাকবাংলো মাঠ সংলগ্ন শীতলী পাড়ার স্বপনের স্ত্রীর বাড়িতে। খবর পেয়ে পৌর সদর গুবিরপাড়া গ্রামের হাবিবুর ওই বাড়িতে মহিলার সাথে দীর্ঘ সময় কাটিয়ে বাড়ির মালিক কে ১০ হাজার টাকা দিতে চেয়ে পরকীয়া প্রেমিকা কে নিজ এলাকা শিবগঞ্জ পাঠাতে বলে। সে অনুযায়ী বাড়ির মহিলা মালিক  চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে হাবিবুর অশ্লিল ভাষায় গালমন্দ ও গলায় চাকু ধরে মেরে ফেলতে চায়। ওই মহিলার ডাক চিৎকারে স্হানীয়রা উদ্ধার করেন। এমতাবস্থায় ২৩ আগষ্ট মঙ্গলবার সকালের দিকে পুনরায় ওই মহিলা আসলে স্হানীয়রা পৌর মেয়রের দপ্তরে নিয়ে যান। বিচার করে দিবে বলে দুপুর পর্যন্ত মেয়রের দপ্তরে থাকে।
মেয়র ইমরুল জানান, উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে মিমাংসা করতে চেয়েছিলাম অনেকের অনুরোধে। কিন্তু ছেলে হাবিবুর তার ভাই ও পিতা সাত্তার বসবে না। এজন্য থানায় দেওয়া হয়েছে।
স্হানীয়রা জানান, থানার ওসি ওই মহিলাকে নিয়ে স্বপনের বাড়ীতে কিছুক্ষন ছিলেন। তবে কাউকে যেতে দেন নি। বাহিরে হাবিবুরের পিতা সাত্তার কে পেয়ে তার ছেলের খোজ করলে তিনি জানান আমার ছেলে দশ পনের দিন ধরে বাড়িতে নেয়।
স্হানীয়রা জানান, হাবিবুর দীর্ঘ দিন ধরে ওই মহিলাকে নিয়ে  অনৈতিক কাজ করত। এমনকি টাকাও পর্যন্ত নিয়েছেন। তাদের থানা মোড়ে আবাসিক হোটেল ছিল, সেটা ছাত্রাবাস করেছে, সেখানেও চলে নানা অপকর্ম বলেও গুঞ্জন রয়েছে।
হাবিবুর গত সোমবার থেকে আত্মগোপনে থাকায় তার পিতা সাত্তারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার ছেলে দশ পনের দিন ধরে বাহিরে। ফাসানোর জন্য এসব করছে। আপনার ছেলে সোমবারে ছিল জানতে চাইলে তিনি একই কথা বলেন।
ওই মহিলা জানান, আমাকে চাকুরির কথা বলে টাকা এবং বিয়ের নামে একাধিকবার দৈহিক সম্পর্ক করেন। আমি এসবের সঠিক বিচার চাই। না হলে ওরা আমাকে মেরে ফেলতে পারে।
থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি কামরুজ্জামান মিয়া জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জেলা পুলিশ সুপার ( এসপি) মাসুদ রানা বিপিএম এর সাথে যোগাযোগ করে ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করা হলে তিনি জানান তদন্ত সাপেক্ষে আইন গত ব্যবস্হা নেওয়া হবে।
হাবিবুর ০১৭৬৩-২৪৬১২৪ এই মোবাইল নম্বর থেকে ফোন দিয়ে জানান, আমাকে ফাসানোর জন্য পরিকল্পিত ভাবে ওই মহিলা এসব করছেন। এপ্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত ওই মহিলা থানায় ছিলেন।

স্ব.বা/রু

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *