সবার জন্য এক কোচিং গাইডলাইন

খেলাধুলা

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: পাড়ার একাডেমি থেকে বয়সভিত্তিক দল। সেখান থেকে এইচপি দল, ‘এ’ দল হয়ে জাতীয় দল। একজন প্রতিশ্রæতিশীল ক্রিকেটারকে নানা স্তর পেরিয়ে পেতে হয় জাতীয় দলের আরাধ্য জার্সি।

নানা ধাপ পেরিয়ে আসার পথে নানা অভিজ্ঞতার সঞ্চার হয় সেই ক্রিকেটারের। ভিন্ন ভিন্ন ধাপে শেখানো হয় নানা কৌশল। কখনো পুরোনো কৌশলের সঙ্গে নতুন কৌশল সাংঘর্ষিক হয়। সেজন্য পুরোনোকে ঝেরে নতুনের পথে পা বাড়াতে হয়। সেই নতুন কৌশল শিখতে গিয়ে আবার বিপত্তি। তখন ক্রিকেটের ‘অ, আ, ক, খ’ নতুন করে পড়তে হয়, জানতে হয়। তাতে তীব্র প্রতিযোগিতার দৌড়ে পিছিয়েও পড়তে হয়।

স¤প্রতি বসয়ভিত্তিক দলের এক ক্রিকেটারের সঙ্গে কথা বলে নতুন এক সমস্যা চিহ্নিত করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। ওই ক্রিকেটারের কাছ থেকে তিনি জানতে পারেন, বয়সভিত্তিক দলে ক্রিকেটারদের ব্যাটিং, বোলিংয়ের টেকনিক একভাবে শেখানো হয়। পরবর্তী ধাপে আরেকভাবে। এতে নতুন করে টেকনিক শিখতে গিয়ে ক্রিকেটারের সহজাত খেলার ধরণ পাল্টে ফেলতে হয়। পিছিয়ে পড়ার প্রবণতাও থাকে।

এজন্য সবার জন্য এক কোচিং গাইডলাইন তৈরি করার দিকে হাঁটছে বিসিবি। গেম ডেভেলামেন্ট বিভাগের কোচদের সঙ্গে জাতীয় দলের কোচিং স্টাফরা বসে একটি নির্দিষ্ট গাইডলাইন অনুসরণ করার প্রয়োজনীয়তা দেখছেন নাজমুল হাসান। সেভাবে সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগ নেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।

রাইজিংবিডির মুখোমুখি হয়ে নাজমুল হাসান বলেন, ‘আমাদের বয়সভিত্তিক দলের কোচরা খেলোয়াড়দের এক প্রক্রিয়ায় শেখাচ্ছে। ওরা যখন আবার একটু বড় হয়, অনূর্ধ্ব-১৯ দলে আসে তখন আরেকটা কোচিং প্যানেলের অধীনে চলে যায়। ওরা তখন আরেকটা প্রক্রিয়ায় শেখানো শুরু করে। তারপর এইচপিতে গেলে আরেক রকম। জাতীয় দলে এসে আবার নতুন করে ওদের টেকনিক নিয়ে কাজ করতে হয়।’

‘ওরা (ক্রিকেটাররা) বলছে, এভাবেই শিখে আসছে ওরা। কিন্তু একেক ধাপে যদি একেকভাবে ওদের শেখানো হয় তাহলে তো যা জানতো তাও ভুলে যাচ্ছে। সব তো নতুন করে শুরু করতে হচ্ছে। একটা বাচ্চা ছেলে আমাকে এটা বলেছে। এটা আমার মাথায় এতোদিন ঢুকেনি। তাই সব কোচদের নিয়ে একটা গাইডলাইন তৈরি করতে হবে যেন সবাই জানে কি করতে হবে।’

‘সবাইকে এক প্রক্রিয়ায় যেতে হবে। তা না হলে আজ এই কোচ বলবে ব্যাট এখানে ধরো। কাল ওই কোচ বলবে ব্যাট ওভাবে ধরো। তাতে খেলোয়াড়রা বারবার পরীক্ষার মধ্যে পড়তেছে। তার মানে ওরা খেলা জানার আগেই ভুলে যাচ্ছে। এই গাইডলাইন থাকতে হবে বিশেষ করে যুব দল, এইচপি ও জাতীয় দলে।’

‘সব পর্যায়ে কোচিংয়ের একটা মেলবন্ধন থাকতে হবে। এগুলো ফাস্ট বোলিংয়েও হচ্ছে। একেক কোচ একেকভাবে শেখাচ্ছে। এজন্য বেসিক লাইন ঠিক করতে হবে। এখন জাতীয় দলের আসার পর যদি রিফাইন করতে হয় তাহলে করবে।

স্ব.বা/রু

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *