বাঘা প্রতিনিধি : চির নিদ্রায় না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাঘা মোজাহার হোসেন মহিলা ডিগ্রী কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক নাজমুল হক । শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না … রাজিউন)।
শনিবার বাদ জোহর দুপুর ২ টা ১৫ মিনিটে তার কর্মস্থল বাঘা মোজাহার হোসেন মহিলা ডিগ্রী কলেজ মাঠে জানাজার নামাজ শেষে বাঘা কেন্দ্রীয় গোরস্থানে সমাহিত করা হয়।
শোকাহত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা ও সহমর্মিতা এবং মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে জানাযা নামাজে বক্তব্য রাখেন,উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট লায়েব উদ্দীন লাভলু,সহকারি কমিশনার (ভূমি) জুয়েল আহাম্মেদ,উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মৌলানা জিন্নাত আলী,বাঘা পৌর সভার সাবেক মেয়র আক্কাছ আলী,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল,উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সহকারি অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন,বাঘা পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান পিন্টু, বাজুবাঘা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার মনোয়ারুল ইসলাম মামুন,মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ নসিম উদ্দীন, শাহদৌলা কলেজের প্রভাষক আবু বকর সিদ্দিক,উপাধক্ষ্য ওয়াহিদ সাদিক কবীর,প্রধান শিক্ষক বাবুল ইসলাম।
পরে পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন মরহুমের সহোদর বড় ভাই শাহ্দৌলা সরকারি কলেজের সাবেক সহকারী অধ্যাপক মাজদার রহমান ও মামাতো ভাই বাঘা প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল লতিফ মিঞা। উপস্থিত ছিলেন জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক,সামাজিক সংগঠন,শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ এলাকার সুধীজন।
সাবেক সহকারী অধ্যাপক মাজদার রহমান জানান, আগের দিন শুক্রবার রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেণ।
অধ্যক্ষ নছিম উদ্দীন জানান, ২০০১ সালের ২০ মে বাঘা মোজাহার হোসেন মহিলা ডিগ্রী কলেজে যোগদান করেন। এর আগে দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপ নগর কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক হিসাবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। শিক্ষকতা পেশার পাশাপাশি কলেজসহ বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানে অত্যন্ত সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। সহকর্মী, শিক্ষক,শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সমাজের মানুষের নিকট অধিক জনপ্রিয় ছিলেন।
মরহুম নাজমুল হক ১৯৭৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি বাজুবাঘা গ্রামের তৎকালীন জমিদার পরিবারে (বর্তমান উপজেলার বাঘা পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের বাজুবাঘা নতুন পাড়া) জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মরহুম আজগর আলী শেখ ও মাতা ছইমন বেগম (জীবিত)। ৩ ভাই ও ১ বোনের মধ্যে নজমুল হক ছিলেন সবার ছোট। স্ত্রী, ২ কন্যা ও ১ পুত্র সন্তানসহ অসংখ্য আত্নীয়-স্বজন ও শুভাকাঙ্খী রেখে গেছেন তিনি।
বাল্যকাল থেকেই তিনি অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। ১৯৮৮ সালে বাঘা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি,১৯৯০ সালে শাহ্দৌলা সরকারি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞান বিভাগে ১৯৯৩ সালে স্নাতক (সম্মান) ও ১৯৯৪ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
স্ব.বা/ম