নওগাঁ সংবাদদাতা : হঠাৎ করে আঙ্গুল ফুঁলিয়ে কলাগাছ হয়ে এলাকায় বেশ আলোচনা সমলোচনায় এসেছে আত্রাই উপজেলার ০২ ভোঁপাড়া ইউনিয়নের নিকটস্থ বাঁকা গ্রামের মৃত সাখাওয়াৎ মন্ডলের ছেলে গার্মেন্টসকর্মী কুহিন ও তার ছোট ভাই তুষার।
তাদের এই অঢেল সম্পদের উৎস কি?প্রতিবেশীরা বলেন দিন এনে দিন খেত তারা তাদের বাড়ীর ভিটেমাটি ছাড়া আর কিছুই ছিলো না আজ থেকে কয়েক বছর আগেও।অভাবের কারনে কুহিনের ছোট ভাই তুষার পড়াশোনা পর্যন্ত করতে পারেনি।কিন্তু মেধাবী ছাত্র হওয়ায় কুহিন পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছে প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজনদের আর্থিক সহযোগীতায়।তাদের দিনকাল খুব কষ্টে যেত এক বেলা খাবার পেলে আরেক বেলা পেত না।
তার মামা আজিজুর রহমান পলাশ (সহ-সভাপতি আত্রাই উপজেলা আ.লীগ) বলেন, ওদের খুব কষ্টে দিনকাল অতিবাহিত হত।পড়াশোনা করবে এমন উপায় ছিলো না কেননা ওরা দু-বেলা ঠিক মত খাবারই পেত না।আর পড়াশোনা তো দূরের কথা!আমি দীর্ঘদিন কুয়েত ছিলাম শুনতাম কুহিন মেধাবী ছাত্র তখন আমি তাকে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে বলতাম এবং সাহায্য সহযোগীতা করতাম।
শেষ বার যখন কুয়েত থেকে ছুটিতে দেশে আসি যাবার সময় ওর মা বললো কুহিনের পরীক্ষা,পরীক্ষার ফি দেবার মত কোন টাকা নেই।আমার হাতে ও সেই সময় টাকা ছিলো না, কি করবো? বিমানে উঠার আগ মুহূর্তে আমি আমার আঙ্গুল থেকে স্বর্ণের আংটি খুলে দিয়ে সেটা বিক্রি করে পরীক্ষার ফি-র টাকা দিতে বললাম।
এভাবেই যেত ওদের দিনকাল।পরে শুনলাম কুহিন পড়াশোনা শেষ করে ঢাকায় যেয়ে একটি গার্মেন্টস (ইমপ্রেস গ্রুপ ও চ্যানেল আই এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইমপ্রেস গার্মেন্টস কোম্পানী) ফ্যাক্টরি চাকুরী করে।আর তারপর থেকেই ওদের অর্থনৈতিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হতে শুরু করে।
কিন্তু এদের এখন এতটায় উন্নতি হয়ে যা বলার বাহিরে আমার উপজেলা নির্বাচনের সময় আমায় কয়েক লক্ষ টাকা দিয়ে সহযোগীতা করেছে নির্বাচন করার জন্য।ওরা আমার কাছ থেকে এখনো কিছু টাকা পায় যা এখনো আমি দিতেই পারিনি।আল্লাহ্ ইচ্ছায় এখন ওরা কোটি কোটি টাকার মালিক।
পর্ব-০১, বিঃদ্রঃ অনুসন্ধান চলছে।
স্ব.বা/ম