অবশেষে রাশিয়ায় পেপসি, সেভেন আপ উৎপাদন বন্ধ করলো পেপসিকো

আন্তর্জাতিক লীড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের জেরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক কোম্পানি পেপসিকো ইনকর্পোরেশন রাশিয়ায় পেপসি, সেভেন আপ এবং মাউন্টেন ডিউ তৈরি করা বন্ধ করে দিলো অবশেষে। মস্কো ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর পর কোম্পানিটি বিক্রয় ও উৎপাদন স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছিল আগেই।

রয়টার্স মস্কো ও এর বাইরে কয়েক ডজন সুপারমার্কেট, খুচরা বিক্রেতা ও জিমে অনুসন্ধান চালানোর পরই পেপসি ইনকর্পোরেশনের এ ঘোষণা এলো। গত জুলাই ও আগস্টে রাশিয়ার কারখানা থেকে উৎপাদন তারিখসহ প্রিন্ট করা পেপসির ক্যান ও বোতল খুঁজে পেয়েছে রয়টার্স। সবশেষ পেপসি গত ১৭ আগস্ট রাশিয়ায় উৎপাদন করে কোমল পানীয়।

এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপসিকোলা, মিরিন্ডা, সেভেন আপ এবং মাউন্টেন ডিউ উৎপাদন করা থেকে সরে এসেছে।

পেপসিকোর একজন মুখপাত্র গত ৮ সেপ্টেম্বর, রাশিয়ায় উৎপাদন বন্ধ রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। কোম্পানিটি মার্চের শুরুতে উৎপাদন, বিক্রয়, প্রচারমূলক কার্যক্রম এবং বিজ্ঞাপন স্থগিত ঘোষণা করার পর প্রথম জনসাধারণের সামনে এমন করেন ওই মুখপাত্র।

তিনি বলেন যে এটি ‘আমাদের ২০২২ সালের মার্চে করা ঘোষণার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ’। তবে বিক্রয় সম্পর্কে আপডেট জানতে চাওয়া হলে এবং সেগুলো বন্ধ করা হয়েছিল কিনা তা মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন তিনি। মস্কোর একজন জিম মালিক বলেন যে, আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে পেপসির জন্য একটি অর্ডার দিয়েছেন তিনি। ইউক্রেনে আগ্রাসনের কারণে পশ্চিমারা নিষেধাজ্ঞা দিলেও খাদ্য ও পানীয় এর আওতার বাইরে ছিল।

২০২১ সালে নিউইয়র্ক-ভিত্তিক পেপসির মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর পরে তৃতীয় বৃহত্তম বাজার ছিল রাশিয়া।

গ্রীষ্মের শুরুর দিকে, রাজধানীর দোকানগুলো বিদেশি বিয়ার বিক্রি করে। যদিও ইউক্রেন আগ্রাসনের কয়েক মাস পরে মদ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলেছিল যে তারা উৎপাদন বন্ধ করবে।

আটলান্টা-ভিত্তিক কোকা-কোলা কোম্পানিও রাশিয়ায় উৎপাদনও অব্যাহত রেখেছে যদিও এটি মার্চ মাসে বলেছিল যে কার্যক্রম স্থগিত করবে।

কোম্পানিটি গত জুনে বলেছিল, রাশিয়ায় বিদ্যমান গ্রাহকরা স্টক কমিয়ে দিচ্ছে, রাশিয়ায় কোক এবং অন্যান্য ব্র্যান্ডের উৎপাদন ও বিক্রয় বন্ধ হয়ে যাবে।

পেপসিকো গত মার্চে এটাও ঘোষণা দেয় যে এটি জরুরি খাবার যেমন শিশু খাদ্য দুধসহ জরুরি পণ্য সরবরাহ অব্যাহত রাখবে। কোম্পানিটি ৬০ বছরের বেশি সময় ধরে রাশিয়ায় কাজ করছে।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ছয় মাস পার হয়েছে। এখনো যুদ্ধ থামার লক্ষণ নেই। বরং ইউক্রেন পাল্টা প্রতিরোধ যুদ্ধ করছে রুশ সেনাদের সঙ্গে। সেকারণে পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে আরও অস্ত্র আহন করেছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী। এদিকে, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। দেশে দেশে বেড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয়সহ সব পণ্যের দাম।

স্ব.বা/রু

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *