স্বদেশ বাণী ডেস্ক: দুর্নীতি ও নৈতিক স্খলনের অভিযোগে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পদচ্যুত সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর বিষয়ে এবার মুখ খুললেন সংগঠনটির সাবেক সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ।
তিনি বলেন, আমি তাদেরকে (শোভন-রাব্বানী) বহু বার বলেছি, কমিটি গঠনে মনোযোগী হও। গা ভাসিয়ে চলাফেরা কর না কিন্তু তারা কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে, তাদের মতই চলেছে। আজ যা হবার তাই হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আস্থা ও বিশ্বাসকেই তারা শুধু ক্ষতি করেনি, বরং একাধারে দেশের ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন, ছাত্রলীগের গায়ে কালিমা এঁকে দিয়েছে। নয়তো তাদেরকে পদচ্যুত করতেন না আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন টকশো অনুষ্ঠানে সদ্য বিদায়ী ছাত্রলীগের নেতাদের বিষয়ে এমন ক্ষোভ প্রকাশ করেন বদিউজ্জামান সোহাগ।
আমি ওদের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বানালাম, কিন্তু ওরা পদ পাওয়ার পর ‘মনস্টার’ হয়ে গেল।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্য উল্লেখ করে সোহাগ বলেন, কতটুকু কষ্ট পেলে একজন রাষ্ট্রনায়ক এবং সংগঠনের সাংগঠনিক নেতা এমন কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর একথা থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায়, তারা তাদের পদের মর্যাদা রক্ষায় নিয়োজিত না থেকে বরং নিজেরা গা ভাসিয়ে চলাফেরা করেছেন। আমি ব্যক্তি সোহাগ কোন বিষয় না, যখন আমি দলীয় পদ বহন করবো, তার মর্যদা অবশ্যই আমাকে রক্ষা করতে হবে। এটা অন্য কেউ এসে আমাকে রক্ষা করে দিতে পারবে না। দেখেন, আজ তাদের এ অবস্থার জন্য তারা নিজেরাই দায়ী। তাদের আরও দায়িত্ববান হওয়া উচিত ছিল। কেননা চেয়ার কারও জন্য স্থায়ী নয়, কিন্তু চেয়ারের মর্যদা রক্ষা করার দায়িত্ব কিন্তু যিনি চেয়ার পেয়েছেন তারই।
প্রসঙ্গত, শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) চাঁদাবাজিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে ছাত্রলীগের শীর্ষ পদ থেকে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানীকে অপসারণ করে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় সিনিয়র সহসভাপতি আল নাহিয়ান জয়কে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হয়। সূত্র: পূর্বপশ্চিম ।
স্ব.বা/শা