বাগমারায় সৎ মা ও বোনের ওপর হামলার অভিযোগ

রাজশাহী

বাগমারা প্রতিনিধি : রাজশাহীর বাগমারায় সৎ মা ও বোনের উপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। আহতদের উদ্ধার করে বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সোনাডাঙ্গা ইউনিয়নের ভরট্ট গ্রামে এমন ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন ভরট্ট গ্রামের মৃত শামসুদ্দীন এর স্ত্রী আয়েরা বেওয়া এবং মেয়ে জোসনা খাতুন। এ ঘটনায় আহতের স্বামী জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে থানায় তিন জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, গত শনিবার বিকেলে পারিবারিক কলোহের জের ধরে সৎ বোন জোসনা খাতুনকে জোরপূর্বক অপর পক্ষের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক ও তার স্ত্রী রিপা এবং মেয়ে সাদিয়া খাতুন তাদের বাড়িতে টেনে হেছড়ে তুলে নিয়ে যায়।

পরে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় জোসনা খাতুন আত্মচিৎকার দিলে তার মা আয়েরা বেওয়া বাড়ি থেকে বের হয়ে মেয়েকে বাঁচাতে দ্রুত সৎ ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিকের বাড়িতে যায়। ওই সময় কিল ঘুষি, লাঠিশোটা আর লোহার রড় দিয়ে মা ও মেয়ের বেধড়ক মারপিট করে। পরে তারা সেখানেই অচেতন হয়ে পড়ে।

পরে প্রতিবেশির ফোন পেয়ে শাশুড়ী ও স্ত্রীকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেন জয়নাল আবেদীন। শাশুড়ী ও স্ত্রীকে উদ্ধার করে বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে পুনরায় লাঠি হাতে নিয়ে তাদেরকে ধাওয়া করে আবু বক্কর সিদ্দিক।

ভ্যান যখন বাধের হাটে পৌঁছা মাত্র আবারও পিছন থেকে মারপিট শুরু করে। পরে বাজারের লোকজন এসে আবু বক্কর সিদ্দিককে ধরে ফেলে।  বর্তমানে আহত আয়েরা বেওয়া এবং তার মেয়ে জোসনা খাতুন বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এ ঘটনায় অভিযোগকারী জয়নাল আবেদীন বলেন, পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রতিনিয়ত আবু বক্কর সিদ্দিক তার সৎ মা এবং বোনদের সাথে ঝগড়া বিবাদ করে। আমার শ্বশুরের মৃত্যুর পর থেকে তাদের অত্যাচার বেশি হয়ে গেছে। বার বার নিষেধ করা হলেও কোন কথায় কানে নেয় না তারা। জোর পূর্বক বসতবাড়ি দখলের চেষ্টা। বাড়ির চালের উপরে চাল নির্মাণ করেছে। কিছু বলতে গেলেই হত্যা হুমকী প্রদান করে আবু বক্কর সিদ্দিক।

এ ব্যাপারে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

স্ব.বা/ম

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *