আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পৃথিবী থেকে ৬৮ লাখ মাইল দূরে একটি গ্রহাণুকে শব্দের চেয়েও দ্রæত গতিতে আঘাত করেছে নাসার একটি মহাকাশযান। পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা ধ্বংসাত্মক কোনো গ্রহাণুকে কক্ষপথ থেকে বিচ্যুত করতে সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) প্রথম এ পরীক্ষা চালানো হয়। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার ‘ডার্ট’ মহাকাশযানটি প্রায় ১৬০ মিটার চওড়া ‘ডাইমরফোস’ গ্রহাণুর ওপর আছড়ে পড়ে। ক্যালিফোর্নিয়া থেকে মহাকাশযানটি উৎক্ষেপণের ১০ মাস পর সোমবার সফলভাবে ওই গ্রহাণুর ওপর আঘাত হানে।
মিশরীয় পিরামিডের আকারের ওই গ্রহাণুর ওপর আঘাত হানার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত ডার্টের গায়ে বসানো ক্যামেরায় প্রতি সেকেন্ডের ছবি দেখা যায়। ওই দৃশ্য ওয়াশিংটন ডিসির বাইরে নাসার মিশন অপারেশন সেন্টার থেকে ওয়েবকাস্ট করা হয়।
নাসার গ্রহ বিজ্ঞান বিভাগের পরিচালক লরি গ্লেজ বলেন, আমরা একটি নতুন যুগের সূচনা করছি। বিপজ্জনক গ্রহাণুর মতো কিছু থেকে নিজেদের রক্ষা করার ক্ষমতা এখন আমাদের আছে। ৫৩০ ফুট (১৬০ মিটার) দৈর্ঘ্যের ডিমোরফস গ্রহাণুটি একটি মিশরীয় পিরামিডের আকারের সমান। এটি এর চেয়ে বড় ‘ডিডাইমোস’ নামে আধা মাইল লম্বা গ্রহাণুকে প্রদক্ষিণ করে। আগে কখনো এমনটা দেখা যায়নি, মহাকাশযানের সঙ্গে সংঘর্ষের এক ঘণ্টা আগে এই ক্ষুদ্র চাঁদ ‘মুনলেট’ আলোর সরু রেখা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল।
তিনি বলেন, গ্রহাণুটি ডিমের মতো আকৃতি ও খসখসে, বোল্ডার-ডটেড পৃষ্ঠটি শেষ কয়েক মিনিটের মধ্যে পরিষ্কার এবং দৃশ্যমান হয়ে উঠেছিল। ডার্ট এটির দিকে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১৫ হাজার মাইল বেগে ছুটে যায়। ডার্টের ওই আঘাতে গ্রহাণুটির গতি খুব সামান্য হলেও কমবে, সেটা হতে পারে প্রতি সেকেন্ডে এক মিলিমিটারের ভগ্নাংশ পরিমাণ। এতে গ্রহাণুটি কক্ষপথে সূ² পরিবর্তন আসবে, যা দীর্ঘমেয়াদে এর গতিপথ বদলে দেবে। এতে গ্রহাণুটি আর পৃথিবীর জন্য হুমকি হয়ে উঠছে না।
স্ব.বা/রু