নবীগঞ্জে মুসলমান নর-নারী’র কল্যাণে আর্দশ মুসলিম পরিবারের মোড়ক উন্মোচন

অন্যান্য শিক্ষা

বুলবুল আহমেদ, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি : প্রবাসী কবি ও লেখক আলহাজ্ব হযরত মাওলানা হাফিজ হামিদুর রহমান হিলালের প্রথম উপন্যাস ‘বৈঠাখাল গ্রাম ইতিহাস ঐতিহ্য ও স্মরণিকা স্মারক গ্রন্থ’টি মুসলমান নর- নারীর কল্যাণে দ্বিতীয় বই আর্দশ মুসলিম পরিবার এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।

(২৮ সেপ্টেম্বর) বুধবার নবীগঞ্জ উপজেলার স্থানীয় গোপলার বাজার এলাকার বৈঠাখাল হাফিজ বাড়িতে গ্রন্থটির প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। বইটি প্রকাশনা করেন, মাওলানা ওলীউর রহমান।

উক্ত অনুষ্ঠানে মাওলানা হাবিবুর রহমান জামালের সভাপতিত্বে ও মাওলানা অলিউর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা আব্দুল মতিন নবীগঞ্জী।এতে বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন, নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আশরাফ আলী, ১০নং দেবপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহরিয়ার নাদিম সুমন, মাওলানা মকলেছুর রহমান, ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম, মাওলানা নুরুল হক, মৌলদ আহমেদ, ফারুক আহমেদ, হাফিজ আনোয়ার, আব্দুল আজিজ, দৈনিক দেশের কন্ঠে’র নবীগঞ্জ প্রতিনিধি মোঃ সেলিম উদ্দিন, দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার নবীগঞ্জ প্রতিনিধি স্বপন রবি দাশ সহ আরো অনেকেই।

অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, হামিদুর রহমান হিলালের প্রথম উপন্যাস ‘বৈঠাখাল গ্রাম ইতিহাস ঐতিহ্য ও স্মরণিকা বা স্মারক গ্রন্থ’ ও ইসলামের দৃষ্টিতে আদর্শ মুসলিম পরিবার’ গ্রন্থ দুটি সময়োপযোগী। এই বইয়ে ইসলামী নীতিমালার আলোকে পরিবার ও সমাজ গঠনের সংক্ষিপ্ত রূপরেখা ফুটে ওঠেছে।

একজন লেখক তখনই সার্থক হন- যখন তিনি মানুষের জীবনের প্রতিচ্ছবি তাঁর লেখনির মাধ্যমে সমাজের মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারেন। আর এই হামিদুর রহমান সেটি পেরেছেন। তারা প্রথম কাব্যগ্রন্থেও উঠে এসেছে নিজ গ্রামের প্রেম ও ভালোবাসার কথা। লেখকের সেই প্রেম একেবারেই দেশ, প্রকৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে।

বক্তারা আরও বলেন, হামিদুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করলেও তিনি’র মন পড়ে থাকে এদেশে। উপন্যাসে তিনি তাঁর কিশোর জীবনের অব্যক্ত প্রেমের যে অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন, তা প্রত্যেক পাঠকের মনে জায়গা করে নেবে বলে তিনি আশাবাদী।

এই গ্রন্থ দুটি পাঠ করলে কেউ অনুধাবন করতে পারবেন না যে, এগুলো একজন নবীন লেখকের বই। হামিদুর রহমান হিলাল সহজ, সরল ও বোধগম্য করে দুটি গ্রন্থই রচনা করেছেন। যা সব ধরনের পাঠকের কাছে গ্রহণ যৌগ্যতা পাবে।

এ বিষয়ে হামিদুর রহমান হিলাল বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে বাংলা, আরবি, উর্দু প্রবন্ধ লেখতে তিনি অভ্যস্ত। প্রবাসে থাকলেও বাংলাদেশকে সব সময় অনুভব করেন তিনি। আশা করি পাঠকরা এই বই পড়লে অনেক ভালো লাগবে।

স্ব.বা/ম

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *