প্রেস বিজ্ঞপ্তি: সম্প্রতি আমার দৃষ্টিগত হয়েছে যে, আগামী ১৭ অক্টোবর, ২০২২ খ্রি. তারিখ আসন্ন রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের সতর্ক করার পরও আচরণ বিধিমালা ভঙ্গ করে বেশ কিছু জনপ্রতিনধি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল-এঁর কাপ-পিরিচ প্রতীকের পক্ষে প্রচার প্রচারনায় অংশ নিচ্ছেন। সর্বশেষ শুক্রবার সকাল ১১টায় পবা উপজেলার চৈতীর বাগানে নির্বাচনী মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ আয়েন উদ্দিন, এম.পি, পবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলী ও কাটাখালী পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র আনোয়ার সাদাত নান্নুসহ আনেক নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিগণ।
যেহেতু জেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালা-২০১৬ এর বিধি ২ (১৪) অনুসারে সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বলতে প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার, সরকারের মন্ত্রী, চিফ হুইপ, ডেপুটি স্পিকার, জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা, সংসদ উপনেতা, বিরোধীদলীয় উপনেতা, প্রতিমন্ত্রী, হুইপ, উপমন্ত্রী বা তাদের সমপদমর্যদার কোনো ব্যক্তি, সংসদ সদস্য এবং সিটি করপোরেশনের মেয়র অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সেহেতু উক্ত বিধিমালার বিধি ২২ (১) অনুসারে সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী নির্বাচনপূর্ব সময়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণায় বা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না। এ অবস্থায় রাজশাহী জেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি ২২ (১) ভঙ্গ করে তারা নির্বাচনী প্রচার প্রচারোনায় অংশ নিচ্ছি।
এছাড়ও আমার জানা মতে, রাজশাহী পবা উপজেলার অধিকাংশ ভোটারকে জোর করে উস্থিত হতে বাধ্য করা হয়েছে। এসব ঘটনায় নির্বাচনের আচারনবিধি ভঙ্গের একটি অংশ। তাই আমি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি নজরে এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবি জানাচ্ছি।
স্ব.বা/রু