ইন্দোনেশিয়ায় আবারও শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

আন্তর্জাতিক লীড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রায় ফের শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। শনিবারের (১ অক্টোবর) এই ভূমিকম্পে সেখানের এক বাসিন্দা প্রাণ হারিয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে ১১ জন। তাছাড়া কয়েকডজন বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। খবর এপির।

মার্কিন ভূতাত্তি¡ক জরিপ অনুযায়ী, উত্তর সুমাত্রা প্রদেশের উপক‚লীয় শহর সিবোলগা থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে পাঁচ দশমিক নয় মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এটির গভীরতা ছিল ১৩ কিলোমিটার (৮ মাইল)।

স্থানীয় পুলিশ প্রধান জোহানসন সিয়ানতুরি বলেছেন, কেন্দ্রস্থল থেকে নিকটতম তারুতুং গ্রামে নিরাপদে পালিয়ে যাওয়ার সময় ৬২ বছর বয়সী এক ব্যক্তি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ১১ জন আহত হওয়ার পাশাপাশি ওই গ্রামের ১৫টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এর আগে শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় ভোররাত ৩টার দিকে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে ৬ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে।

মার্কিন ভূতাত্তি¡ক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) তথ্যমতে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মেউলবোহ শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং কেন্দ্র ছিল ভূপষ্ঠ থেকে ৪৮ দশমিক ৬ কিলোমিটার গভীরে।

তথাকথিত ‘প্যাসিফিক রিং অব ফায়ার’-এ অবস্থানের কারণে ইন্দোনেশিয়া অত্যন্ত ভূমিকম্পপ্রবণ একটি দেশ। গত ফেব্রুয়ারিতে দেশটির সুমাত্রা দ্বীপে ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছিলেন অন্তত ১০ জন।

গত আগস্টের শেষের দিকে মাত্র দুদিনে তিনবার ভূমিকম্পে কাঁপে দ্বীপটি। গত ২৯ আগস্ট সুমাত্রায় আঘাত হানে ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প। এর কয়েক ঘণ্টা আগে সেখানে আঘাত হানে ৫ দশমিক ২ মাত্রা ও ৫ দশমিক ৪ মাত্রার আরও দুটি ভূমিকম্প।

গত ২২ আগস্ট ইন্দোনেশিয়ার ডেনপাসার এলাকায় আঘাত হেনেছিল ৫ দশমিক ৫ মাত্রার এক ভূমিকম্প। এর পরেরদিন সুমাত্রা দ্বীপে আঘাত হানে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প। ২০০৯ সালে ইন্দোনেশিয়ার পাডাং এলাকায় ৭ দশমিক ৬ মাত্রার এক ভূমিকম্পে ১ হাজার ১০০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।

স্ব.বা/রু

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *