বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ৪ বছর পর পরীক্ষা, উপস্থিতি ৩০ শতাংশ

নিয়োগ

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: টাঙ্গাইলে সমাজসেবা অধিদফতরের সমাজকর্মী (ইউনিয়ন) নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৮ সালের জুলাইয়ে এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল।

৪ বছর পর শুক্রবার সকাল ১০টা হতে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এমসিকিউ পদ্ধতিতে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় ১৯ হাজার ১৭৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫ হাজার ৭৪৪ জন অংশগ্রহণ করেন। পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ৩০ শতাংশ।

এদিকে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করায় এক নারী পরীক্ষার্থীকে ৭ দিনের কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অপরদিকে সড়কের খানাখন্দ ও যানজটের কারণে পরীক্ষা দিতে না পেরে হতাশা প্রকাশ করেছে আবু বক্কর সিদ্দিক নামের এক পরীক্ষার্থী।

জেলা সমাজসেবা কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ৯ জুলাই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সমাজসেবা অধিদফতর। সেখানে টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলা থেকে ১৯ হাজার ১৭৭ জন প্রার্থী আবেদন করেন। শুক্রবার টাঙ্গাইল শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২১টি কেন্দ্রে এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ৫ হাজার ৭৪৪ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। উপস্থিতির হার ২৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

এদিকে শহরের মওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে পরীক্ষার হলে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস নিয়ে প্রবেশ করার অভিযোগে লিজা খাতুন নামের এক পরীক্ষার্থীকে ৭ দিনের কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রানুয়ারা খাতুন এ দন্ড দেন।

ম্যাজিস্ট্রেট রানুয়ারা খাতুন জানান, এই কেন্দ্রে এক হাজার ২১২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩৭৪ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে এক নারী পরীক্ষার্থী সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস নিয়ে প্রবেশ করার অভিযোগে ৭ দিনের জেল দেওয়া হয়।

পরীক্ষায় অংশ নিতে না পেরে মো. আবু বকর সিদ্দিক নামের এক পরীক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, নাগরপুর-টাঙ্গাইল সড়কটিতে খানাখন্দ রয়েছে। অপরদিকে এলাসিন সেতুতে টোল দিতেও প্রায় ১০ মিনিট সময় লেগেছে। এসব কারণে পরীক্ষার কেন্দ্রে যেতে ১০-১২ মিনিট দেরি হয়েছে। এছাড়াও শহরের কুমুদিনী সরকারি কলেজ কেন্দ্রের গেটে আমাকে ১২-১৫ মিনিট দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। সব মিলে ২০-২৫ মিনিট পর কেন্দ্রে প্রবেশ করলেও আমাকে হলে প্রবেশ করতে দেননি দায়িত্বপ্রাপ্তরা। ফলে আমি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারিনি।

তিনি আরও বলেন, আমি গরিব ঘরের সন্তান। খুব কষ্ট করে লেখাপড়া করেছি। ইচ্ছে ছিল একটি ভাল চাকরি করব। কিন্তু আমাকে পরীক্ষা হলে প্রবেশ করতে না দেয়ার কারণে সেই স্বপ্নটি পূরণ হলো না। এ দায়ভার আসলে কার। সড়ক ব্যবস্থার নাকি দায়িত্বপ্রাপ্তদের অবহেলা।

জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. শাহ আলম বলেন, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কম থাকলেও টাঙ্গাইলে শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের পরে কেউ আসলে তাকে পরীক্ষার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

স্ব.বা/রু

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *