আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিমানখাত। সে সময় যাত্রীর অভাবে অনেক কোম্পানিকেই কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হয়। তবে পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করছে এ গুরুত্বপূর্ণ খাতটি। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে প্লেনে যাত্রীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের চেয়ে যাত্রী ট্রাফিক বেড়েছে ৫৭ শতাংশ। মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে যাত্রী ট্রাফিক মহামারির আগের স্তরের ৭৪ শতাংশে পৌঁছেছে। দেশে দেশে করোনার বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় মূলত মানুষের ভ্রমণ বেড়েছে।
সীমান্ত খুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ধীর নীতি অবলম্বন করেছে এশিয়া প্যাসিফিক। কিন্তু অঞ্চলটিতে গত বছরের চেয়ে যাত্রী ট্রাফিক বেড়েছে ৪৬৫ শতাংশ।
সম্প্রতি পর্যটন ব্যবস্থাকে সমৃদ্ধ করতে জাপান, হংকং ও তাইওয়ান সীমান্ত বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে। তবে এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ চীনে এখনো বিধিনিষেধ রয়েছে।
যাত্রী ট্রাফিক বেড়েছে মিডেল ইস্টার্ন এয়ারলাইনসেও। এখানে যাত্রী ট্রাফিক বেড়েছে ১৫০ শতাংশ। এরপরের অবস্থানে রয়েছে উত্তর আমেরিকা ও ল্যাটিন আমেরিকা। তাদের বেড়েছে যাথাক্রমে ১২৯ ও ৯৯ শতাংশ।
তাছাড়া আফ্রিকার এয়ারলাইনসের ট্রাফিক বেড়ে ৯১ শতাংশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে বেড়ে ৭৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিক ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরের তুলনায় বৈশ্বিক কার্গো প্লেনের চাহিদা কমেছে ১১ শতাংশ। কারণ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ঘাটতি ও মন্দার ঝুঁকিতে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
স্ব.বা/রু