তানোরে কৃঞ্চপুর স্কুল কলেজ নির্ধারিত সময়ের আগেই গেটে তালা

রাজশাহী শিক্ষা

তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর উপজেলা পাচন্দর ইউনিয়ন (ইউপির) কৃঞ্চপুর আদর্শ মহিলা কলেজ ও উচ্চ বিদ্যালয় সরকারের বেধে দেওয়া নির্ধারিত সময়ের কয়েক ঘন্টা আগেই ছুটি দিয়ে গেটে তালা মেরে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে করে ঐতিহ্যবাহী সুনাম ধন্য প্রতিষ্ঠান দুটির শিক্ষা কার্যক্রম একেবারেই ভেঙ্গে পড়েছে। অপর দিকে বিকেল চারটা পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান চালাতে নির্দেশ দিলেও তদারকির অভাবে ব্যহত হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থা। ফলে দ্রæত এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জোর দাবি অভিভাবক মহলের।

গত ৯ নভেম্বর বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার কৃঞ্চপুর উচ্চ বিদ্যালয়টি বিকেল ৩ টার আগে স্কুলের গেট বন্ধ পাওয়া যায়। সেখানে বেশকিছু ব্যক্তিরা জানান, উপজেলার মধ্যে অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ ছিল। অতীতে ছাত্র ছাত্রী ছিল প্রচুর। এই স্কুল থেকে অনেক মেধাবী মেধাবী শিক্ষার্থীরা দেশের সুনাম ধন্য প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করে সরকারী বেসরকারী পর্যায়ে চাকুরী করছেন। কিন্তু মহামারি করোনা ভাইরাসের জন্য দীর্ঘ সময় স্কুল বন্ধ থাকার পর চালু হলেও পাঠদান বলতে কিছুই নেই। স্কুলে দুপুরের পরে হাতেগোনা ১০/১২ জন শিক্ষারর্থীরা ছিল। এক শিক্ষক ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ক্লাস নেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের ডাকলে মাত্র ৩ জন ছাত্র আসেন। ওই শিক্ষক জানান কিছুই করার নাই, দুপুরের পরে কেউ আসতে চায় না। এসব কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালী পনা ছাড়া কিছুই না

বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটার দিকে গিয়ে দেখা যায়, কৃঞ্চপুর আদর্শ মহিলা কলেজের মুল ফটক তালা বদ্ধ। এই কলেজেরও করুন অবস্থা। নেই শিক্ষার্থী। কলেজ অধ্যক্ষ আতাউর রহমান বলেন, আমরা বারবার বলেছে একবেলা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালানোর ব্যাপারে। কারন দীর্ঘ সময় স্কুল কলেজ বন্ধ ছিল। সবাই প্রাইভেট কোচিংয়ের উপর নির্ভরশীল। সকাল আট থেকে সরকারী অফিসের সময় দেওয়া হয়েছে। সেটা কি বাস্তবায়ন হচ্ছে। নিজেরাই মানেন না সরকারী নির্দেশনা। আর তিনি এধরনের সময় বেধে দিচ্ছেন। দুপুরের পরে শিক্ষার্থীরা আসতে চায় না। আমরা তো মারপিট করে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে আসতে পারব না। শুধু আমার প্রতিষ্ঠানের না উপজেলার প্রায় প্রতিষ্ঠানের এমন নাজেহাল অবস্থা।

কৃঞ্চপুর স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ভাইস চেয়ারম্যান আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে এধরনে ঘটনা ঘটে থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দিকুর রহমান কে বিষয়টি সম্পর্কে মোবাইলে অবহিত করা হলে তিনি দেখছি বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এর আগেও এই কর্মকর্তাকে দুটি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানানো হলে তিনি প্রতিষ্ঠানের প্রধানসহ ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের এই প্রতিবেদকের কথা বলে দেন।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *