স্বদেশ বাণী ডেস্ক: ১৫ দিন পর্যালোচনার পর নিশ্চিত হল, পাওয়া যাবে ঋণ। কিন্তু পালন করতে হবে একাধিক শর্ত। কৃষি খাতে ভর্তুকি তুলে নেবার প্রস্তাব দিয়েছে আইএমএফ।
এ প্রসঙ্গে সিপিডি’র সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা, জ্বালানী নিরাপত্তা, উদ্যোক্তাদের উৎপাদন সক্ষমতা- এগুলোই শেষ পর্যন্ত প্রাধান্য পাওয়া উচিত। কিন্তু এটাও অস্বীকার করার উপায় নেই যে আমাদের অনেকগুলো সংস্কার দরকার।
ড. মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, এটা যে আমাদের রিজার্ভে বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে তা মনে হয় না। অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক হবে- এই ভাবনা থেকে আমাদের অন্য যেসব উন্নয়ন সহযোগী আছে যেমন ধরুন-ওয়ার্ল্ড ব্যংক, এডিবি বা জাইকা তারা বাজেটারি সাপোর্ট নিয়ে আসবে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের পরামর্শক ড. জাহিদ হোসেন এ ব্যাপারে বলেন, ওরা ভর্তুকিকে একেবারে তুলে দেয়ার কথা বলছে না। ওরা বলছে, ভর্তুকি কমানোর কথা এবং যাদের প্রয়োজন বিশেষ করে যারা জীবিকা সংকটে থাকে তাদের কাছে পৌছানো। মূল্যের মাধ্যমে যে ভর্তুকীটা দেয়া হয় সেটা তো ধনী-গরীব সবাই পায়। এই জায়গাটা থেকেই বেরিয়ে যাওয়ার কথা বলছে তারা।
দীর্ঘদিন ধরেই রাজস্ব খাতের সংস্কার চায় আইএমএফ। কিন্তু দৃশ্যমান তেমন অগ্রগতি এক্ষেত্রে নেই। প্রণোদনা দেবার ক্ষেত্রেও খাত নিদিষ্ট করার তাগিদ দিয়েছে এই ঋণদাতা সংস্থা।
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ফেব্রুয়ারিতে আসবে ঋণের প্রথম কিস্তির অর্থ। অন্যন্য উৎস থেকেও অর্থ সংগ্রহের প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
স্ব.বা/রু