এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী মানেই তানোর গোদাগাড়ী 

রাজশাহী

সারোয়ার হোসেন,তানোর: এক সময়ের বিএনপির ঘাটি ছিল এলাকাটি, হয় তো নতুন প্রজন্মের অজানা, জাতীয় স্থানীয় পর্যায়ে ছিল তাদের রাজত্ব, নব্বই দশক থেকে টানা ১৬ বছরের রাজত্ব, ছিলেন কেবিনেট প্রভাবশালী মন্ত্রী, বলছিলাম প্রয়াত সাবেক সংস্থাপনপ্রতি মন্ত্রী, পরে ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল বা ওয়ান এলেভেনের আগ পর্যন্ত বিএনপির জয়জয় কর অবস্থা। তবে ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে প্রথমবারের মত নৌকা প্রতীকে এমপি ভোটের মাধ্যমে রাজনীতির আগাম বার্তা দিয়েছিলেন তানোর উপজেলার জমিদার শহীদ পরিবারের সন্তান তৎকালীন শিল্পপতি ওমর ফারুক চৌধুরী। নতুন প্রজন্ম যে রাজনীতি দেখছে ১৯৯১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপির নেতাদের পুলিশি গার্ডে বাড়িতে আনা নেওয়া পাহারা দিতে হত। প্রয়াত মন্ত্রীর পাশের নেতারা একচেটিয়া রাজত্ব টেন্ডার বাজি টিয়ার কাবিখাসহ নানা প্রকল্প লুটে খেয়েছে। একেকজনও টাকার কুমির হয়ে গিয়েছিলেন। ওই সময়ের সুবিধা বাদীরা আর রাজনীতির মাঠে নেই। উপজেলা পর্যায়ে কোন কর্মসুচিও দিতে পারেন না দলটি। এখানো রয়ে গেছে প্রচন্ড লবিং গ্রুপিং। আর বর্তমান সংসদ ওমর ফারুক চৌধুরীর কর্মী বান্ধব নেতৃত্ব, জন সম্মুখে থাকা, নেতাকর্মী দের সাথে নিয়োমিত যোগাযোগ নানা উন্নয়ন মুলুক কর্মকান্ড, নেতাকর্মী সুধী তৈরী করে বিরোধীদের রাজনৈতিক ভাবে দূর্বল করে দেওয়া দালালি মাস্তানি করতে না দেওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা নৌকার পক্ষে অবিচল থাকা বিরোধীদের বিরুদ্ধে কথা বলা শ্রদ্ধা স্নেহ মায়া মমতা দিয়ে নবীন প্রবীনদের দলে আকৃষ্ট করা, দেশরত্নের নেতৃত্বে জীবন বাজি রেখে কাজ করা বিদ্রোহীদের সাথে আতাত না করা সহ ইত্যাদি ইত্যাদি বিষয়ে পরিস্কার সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়ার কারনে নির্বাচনের আগে দলীয় ভাবে প্রচুর ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দলকে মুজবুত করেছেন সেটা দিবা লোকের মত পরিস্কার।

যতটুকু বিশ্লেষণ করে দেখা যায় রাজনীতির এক পরিপক্ষ নেতা ওমর ফারুক চৌধুরী বিগ ডিলার হিসেবে পরিচিত ক্লিন ইমেজের এমপি । আজ নতুন না বিগত ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় থেকে তার বিরুদ্ধে নিজ দলের কিছু কিনারাহীন নেতারা চালিয়ে যান ব্যাপক ষড়যন্ত্র,কিন্তু এই অবিচল মানুষটি সবকিছু রাজনৈতিক ভাবে ধর্য্যসহ কারে মোকাবিলা করে বটগাছের ছায়ার মত দলকে সুসংগঠিত করে যাচ্ছেন। ফলে তার নির্বাচনী রাজশাহী-১( তানোর- গোদাগাড়ী) আসনে তার বিকল্প দেখছেনা না তৃনমুল থেকে শুরু করে সিনিয়র নেতারা। এজন্য কোন কিছুতেই কর্নপাত না করে আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য সকল ভেদাভেদ ভুলে এক হয়ে কাজ করার আহবান জানান নেতারা।

এই প্রতিবেদক বেশকিছু বিরোধী নেতার সাথে কথা বললে,তারা একান্ত ভাবে বলেন এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী বলেই তানোর গোদাগাড়ীতে মাস্তানি, টেন্ডার বাজি, দখলবাজি, ক্ষমতার অপব্যবহার, শোষন করা, আত্মসাৎ না করা ইত্যাদি ইত্যাদির মাঝেও বড় ব্যাপার তিনি অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না এবং তিনি এমন এক এমপি তার সামনে কেউ অন্যায় দাবি করতেও পারেন না, আর করলেও উচিৎ জবাব দেন এটাই তার নিজ দলের সুবিধাবাদিরা মানতে পারেন না। তারা আরো বলেন বিগত বিএনপি জোট সরকারের সময় কিভাবে অত্যাচার অনাচার ক্ষমতার অপব্যবহার রাহাজানি, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড থেকে শুরু করে যত প্রকার অবিচার সেটা করেছিল। কিন্তু ওমর ফারুক চৌধুরীর আমলে এমন একক ক্ষমতা নেই, তার দ্বার সবার জন্য উন্মুক্ত, নিজের কাজে নিজে যাও সঠিক হলে হবেই, এমন নজির অহরহ। যার কারনে অনেক বিরোধী হেবিওয়েট নেতারাও এমপির নেতৃত্বে তুষ্ট।

আমার দেখা ফারুক চৌধুরী, বিগত ২০০১ সালে প্রথম বার জাতীয় নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট করেন তানোর উপজেলার কলমা ইউপি এলাকার জমিদার শহীদ পরিবারের সন্তান ওমর ফারুক চৌধুরী। যদিও ওই নির্বাচনে প্রয়াত হেবিওয়েট মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের কাছে পরাজিত হলে জনতা বুঝতে পেরেছিল আগামীর এমপি হবেন তানোরের কৃতি সন্তান ওমর ফারুক চৌধুরী।
যার কারনে আপামর জনতার বিপুল ভোটে ২০০৮ সালে এমপি নির্বাচিত হন তিনি।

জানা গেছে, এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী প্রকৃতপক্ষে একজন ব্যবসায়ী। তার পিতাকে রাজশাহীর বাবলা বনে পাক হানাদার বাহিনী নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেন। তিনি রাজনীতিতে এসে এই এলাকায় আওয়ামীলীগের নব জাগরন সৃষ্টি করেছেন। যে কারনে রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের জয়জয়কর অবস্থা। যে শহরে বাংলা ভাই অস্ত্র উচিয়ে শোডাউন করেছিল, সেই শহর গ্রাম গঞ্জে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শক্তিকে প্রতিটি ঘরে ঘরে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী। তার রাজনৈতিক দক্ষতা সঠিক বিচক্ষন নেতৃত্বের কারনে দেশরতœ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক পরে সভাপতি করেন।

তানোর পৌর আওয়ামী লীগের তরুন উদীয়মান সমাজ সেবক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবুল বাসার সুজন বলেন, রাজনীতিতে মত পার্থক্য থাকতে পারে কিন্তু দলের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া এটাকে দল করা বলে না। আর এমপি ভাই কোন সময়ের জন্য দলের হাইকমান্ডের বা দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কখনো অবস্থান নেন নি। এটাই তার একটা বড় অপরাধ এবং অন্যায় কাজকে প্রশ্রয় দেয় না, দলকে পকেট বন্দী রাখে না। রাজশাহীতে আওয়ামীলীগের অতীতের কি অবস্থা ছিল আর এখন কি অবস্থা সেটা বিবেচনা করলে বুঝতে পারবে। তানোর গোদাগাড়ী বিএনপির ঘাটি, সেটাকে সুকৌশলে

তিনি রাজনৈতিক ভাবেই মোকাবেলা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ প্রদীপ সরকার জানান, তানোর গোদাগাড়ীতে এমপি ফারুক চৌধুরীর বিকল্প নেতা তৈরি হয় নি। তার রাজনৈতিক বিচক্ষনতার জন্য আজ ঘরে ঘরে আওয়ামী লীগ। তিনি এমন একজন নেতা যার দরজা ন্যায়ের জন্য খোলা, অন্যায়ের জন্য বন্ধ। এমপি শুধু নেতাই না তানোরের অহংকার। যারা তাকে নিয়ে অযথা ষড়যন্ত্র করছেন বা করেন তাদের ভাবা উচিত যে যারাই তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্র করেছেন তারাই রাজনৈতিক ভাবে জিরো টলারেন্সে হয়ে পড়ে রয়েছে। সুতরাং তিনি যতদিন সুস্থ থাকবেন আমাদের বিশ্বাস নেত্রী ততদিন তাকে টিকিট দিবেন। কারন নেত্রীও ভালো ভাবে জানেন এই এলাকায় শুধু মাত্র ওমর ফারুক চৌধুরীর জন্য আওয়ামীলীগ এক সুসংগঠিত দলে পরিনত হয়েছে।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা যুবলীগ সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না জানান, বিগত ২০০৯ সাল থেকে উপজেলা পরিষদ বিএনপির দখলে, তানোর পৌরসভা ২৬ বছর ধরে বিএনপি রাজত্ব করেছে। কিন্তু এমপির দিক নির্দেশনায় আজ উপজেলা পরিষদ, তানোর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের দখলে। এটা সম্ভব হয়েছে একমাত্র ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি বলেই। জাতীয় স্থানীয় নির্বাচন আসলেই তার বিরুদ্ধে চলে নানামুখী ষড়যন্ত্র। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এমপির বিরুদ্ধে চালানো হচ্ছে নানামুখী ষড়যন্ত্র। বিগত ২০১৮ সালের নির্বাচনে সেভেন স্টার গঠন করা হল, তারা এমন ভাবেই মিথ্যা রচনা সাজালেন যা ভাবাই কষ্টকর । কয়েকদিন আগে টিভিতে একটি প্রতিবেদন হয় আওয়ামী লীগের ১৪০ জন মন্ত্রী এমপির কপাল পুড়বে, ঝুকিতে রাজশাহী ও যশোর। এমন প্রতিবেদন হয়েছে মনে হচ্ছে ওমর ফারুক চৌধুরী নাই। তাদেরকে বলতে চায় ফারুক চৌধুরী তার মনোনায়ন নিয়ে ভাবেন না। তিনি এমন এক নেতা যতদিন ধরে রাজনীতি করছেন কখনো নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন নি এবং হাজার হাজার নেতাকর্মীদের দোয়ায় আগামীতেও তিনিই মনোনায়ন পাবেন এবং পুনরায় এমপিও হবেন ইনশায়াল্লাহ। তার অপরাধ সত্যকে সত্য বলা, অন্যায়কে প্রশ্রয় না দেওয়া এবং নৌকার বিরোধিতা কারীদের অন্যায় কাজে সহায়তা না করা। এমপি দুই উপজেলার প্রায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার করেছেন, নিজের কোটি কোটি টাকা মুল্যের জায়গা দান করেছেন, যেখানে কারিগরি কালেজ হচ্ছে, রাস্তা ঘাট, ব্রীজ কার্লভাট, আধুনিক শিক্ষা ভবন থেকে শুরু করে তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেই যাচ্ছেন এবং যাবেন।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *