নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁর মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে মেশিন গত প্রায় ২/৩ মাস ধরে নষ্ট অবস্থায় পড়ে আছে। এতে হাসপাতালে আসা অনেক রোগী এক্স-রে করাতে না পেরে ফেরত যাচ্ছেন। জরুরি প্রয়োজনে বাধ্য হয়ে হাসাপাতালের বাহিরে বিভিন্ন ডায়াগণস্টিক সেন্টার (রোগ নির্ণয় কেন্দ্র) থেকে এক্স-রে করাচ্ছেন রোগীরা । ফলে বাড়তি টাকা গুণতে হচ্ছে তাদের।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, গত প্রায় ২/৩ মাস ধরে হাসপাতালের এক্স-রে মেশিনটি নষ্ট হয়ে আছে। সেই থেকে হাসপাতালে আসা রোগীরা এক্স-রে করাতে পারছেন না। এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা রোগীরা এক্স-রে করাতে না পেরে ফেরত যাচ্ছেন। এতে রোগীদের সময় ও অর্থ নষ্ট হচ্ছে। যাদের এক্স-রে করা জরুরি, তারা হাসাপাতালের বাহিরের বিভিন্ন ডায়াগণস্টিক সেন্টার (রোগ নির্ণয় কেন্দ্র) এ গিয়ে এক্স-রে করছেন। মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল) এ প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ জন রোগী এক্স-রে করিয়ে থাকেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক্স-রে মেশিন নষ্ট থাকায় রোগী নিবন্ধন কেন্দ্রে এক্স-রে সাময়িক বন্ধ থাকার কথা কাগজে বিজ্ঞপ্তি আকারে টাঙিয়ে রেখেছে। এতে করে অসংখ্য রোগী ভোগান্তির শিকার হয়ে ফেরত যাচ্ছেন।’
মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল) এর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ বিজয় কুমার রায় এক্স-রে মেশিন নষ্ট থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ গত ২/৩ মাস থেকে এক্স-রে মেশিনটি নষ্ট হয়ে আছে। যা ঠিক করতে প্রায় ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। সেকারণে আগের এনালগ এক্সরে মেশিন দিয়ে কাজ চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। ইতোমধ্যে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে মেশিনটি ঠিক করার জন্য চাহিদা পাঠানো হয়েছে।আমরা আশা করছি খুব শীঘ্রয় এর একটা সমাধান হবে।
স্ব.বা/রু