রাজশাহীতে ইসলামী হাসপাতালে নারী সাংবাদিক লাঞ্চিত

গণমাধ্যম রাজশাহী

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: আজ রবিবার দুুপুর ২টা ৪০ মিনিটে রাজশাহী শহরের লক্ষিপুর মোড়ে অবস্থিত ইসলামী হাসপাতাল ইউনিট ১ ( নতুন ভবন) এ হাসপাতালের কর্মাচারী কর্তৃক নারী সাংবাদিক লাঞ্চিত হবার ঘটনা ঘটে। এ বিষয় রাজপাড়া থানা একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।

অভিযোগে দৈনিক উপচার পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মোসাঃ সোনিয়া খাতুনকে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করে এবং তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ইসলামী হাসপাতালের মার্কেটিং অফিসার সহ আরো ৪/৫ জন কর্মচারিকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দায়ের করেন।

ঘটনার সুত্রপাত ঘটে গতকাল ৭/১৭/২০২৩ তারিখে চাপাই নবাবগঞ্জ জেলার কানসাট থেকে চিকিৎসা নিতে আসা তৈমুর নামক এক বৃদ্ধ রুগীকে মেরে আহত করার ঘটনাকে নিয়ে।

সাংবাদিক সোনিয়া, হুমায়ুন কবীর ও নাইম হোসেন ঘটনা সুত্রে জানতে পারে ইসলামী হাসপাতালের আল্ট্রাসনোগ্রাফি ডাক্তার হাসনাইন জুবেরী বৃদ্ধ রুগী তৈমুর কে আল্ট্রাসনো মেশিনের পপ দিয়ে কপালে আঘাত করে রক্তাক্ত করে এবং আঘাতের কারনে রুগী প্রায় আধাঘন্টা বেহুশ অবস্থায় থাকে পরে তার ঞ্জান ফিরলে আল্ট্রাসনো রুম থেকে কপালে জখম সহ বের করা কপালের জখমের বিষয়ে ডাক্তার কোন কিছু না বলে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে চলে যায় তবে আল্টাসনো রুমের সহকারী নার্স বলেন ডাক্তার রেগে তার কপালে আঘাত করেছে।

এ বিষয়ে হাসপাতাল সুপারের নিকট মৌখিকভাবে অভিযোগ করলে তিনি বিষয়টি দেখবে বলে চেপে যান।

এই ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হাসপাতালের কর্মরত কয়েকজন স্টাফ প্রথম থেকেই সাংবাদিকদের সঙ্গে খারাপ আচারন করে আসছিলো। সাংবাদিকরা রুগীকে সাথে নিয়ে ঘটনার তদন্তে সত্যতা নিশ্চিত করতে হাসপাতালের ৪/৫ জন কর্মচারি একটা রুমে রুগী সহ রুগীর স্বজনদের ঢুকিয়ে সাংবাদিকদের জোর করে বের করে দেয় এবং বলেন আগে আমরা রুগীর সাথে কথা বলবো তারপর আপনাদেরকে জানানো হবে। ঘটনার ফলাফল জনার জন্য সাংবাদিকগণ প্রায় আধাঘন্টার বেশি বাইরে অপেক্ষা করে এক পর্যায়ে সাংবাদিকরা তাদের কাছে মিমাংসার ফলাফল জানতে চাইলে তারা বলেন ঘটনার সমাধান হয়ে গেছে তবে কি সমাধান হয়েছে এই প্রশ্ন করলে সাংবাদিকদের চোখ রাঙ্গিয়ে কর্কশ ভাষায় কথা বলে এবং মহিলা সাংবাদিক সোনিয়াকে ধাক্কা দিয়ে তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।

এমন ঘটনার জন্য উপস্থিত সাংবাদিক সংগঠন অনলাইন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক প্রতিবাদ করলে হাসপাতালের মার্কেটিং অফিসার সহ অন্যান্য ৪/৫ প্রশাসনিক অফিসাররা হাসপাতাল সুপারের সাথে যোগাযোগ করতে বলে গড়িমসি করতে থাকে। ঘটনার প্রায় আধাঘন্টা ঘন্টা পর হাসপাতাল সুপারের সাথে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ দেখা করে সঠিক সমাধান না পেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

নারী সাংবাদিককে লাঞ্চিত করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান রাজশাহী অনলাইন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি সাধারন সম্পাদক সহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এছাড়াও এ ঘঠনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বাংলাদেশ জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা রাজশাহী বিভাগের সভাপতি নুরে ইসলাম মিলন সহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

স্ব.বা/রু

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *