ভোট সুষ্ঠু করতে এবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে চিঠি

জাতীয় বিশেষ সংবাদ লীড

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোই চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য নির্বাচনে সহযোগিতা চেয়ে সরকারের বিভিন্ন বিভাগকে চিঠি দেওয়া হচ্ছে। এবার সিটি করপোরেশনের ভোটগুলো নিরপেক্ষ করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে বিশেষ বিধানের কথা মনে করিয়ে দিয়ে চিঠি দিয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।

ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান এ সংক্রান্ত একটি চিঠি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ এর বিধান অনুসরণ এবং নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা প্রদান করতেই চিঠি দিয়েছে ইসি।

ইসির চিঠিতে লেখা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত সময়সূচি অনুসারে আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন, ১২ জুন খুলনা ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন এবং ২১ জুন রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এসব নির্বাচন পরিচালনার জন্য রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। নির্বাচন সংক্রান্ত কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ তথা সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্ত¡শাসিত, আধাস্বায়ত্ত¡শাসিত অফিস, প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে থেকে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেসরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠান থেকেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করা প্রয়োজন হবে। উল্লিখিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে থেকে কারও কারও নির্বাচনে অন্যান্য দায়িত্ব পালনের প্রয়োজন হতে পারে। সরকারি, সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মধ্যে থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ ছাড়াও নির্বাচনে বিভিন্ন দায়িত্ব প্রদান করা হবে। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। তাছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার স্থাপনা, অঙ্গন ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

ইসি জানায়, বাংলাদেশের সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য এবং স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ এর বিধি ৩ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব পালনে সহায়তা প্রদান করার উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রের যেকোন ব্যক্তি বা নির্বাহী কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে পারবে এবং অনুরূপভাবে নির্দেশিত হলে উক্ত ব্যক্তি বা নির্বাহী কর্তৃপক্ষ উল্লিখিত দায়িত্ব পালন বা উক্তরূপ সহায়তা প্রদান করতে বাধ্য থাকবে।

উক্ত বিধিমালার বিধি ৮৯ অনুযায়ী নির্বাচনের সময়সূচি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হলে ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হওয়ার পর ১৫ দিন সময় অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের সাথে পরামর্শ ব্যতীত বিধি উল্লিখিত কর্মকর্তাগণকে অন্যত্র বদলি করা যাবে না। নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ অনুসারে কোনো ব্যক্তি নির্বাচন সংক্রান্ত কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত হলে তিনি তার উক্তরূপ নিয়োগের পর নির্বাচনী দায়িত্ব হতে অব্যাহতি না পাওয়া পর্যন্ত তার চাকরির অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে প্রেষণে চাকরিরত আছেন বলে গণ্য হবেন।

ইসি আরও জানায়, নির্বাচনের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব আইন ও বিধি মোতাবেক নিরপেক্ষভাবে পালনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে অতীতের ন্যায় সহায়তা প্রদান করবেন। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গকে অব্যাহতি না দেয়া পর্যন্ত যাতে তাদের অন্যত্র বদলি করা বা ছুটি প্রদান না করা হয় অথবা নির্বাচনী দায়িত্ব ব্যাহত হতে পারে এমন কোনো কাজে নিয়োজিত না করা হয় তার নিশ্চয়তা বিধানের লক্ষ্যে সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ তথা সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্ত¡শাসিত ও বেসরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠান, সংস্থাসমূহকে নির্দেশ প্রদানের জন্য আদিষ্ট হয়ে অনুরোধ করা হলো।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *