কৃষকের ক্ষতি ৬ লাখ টাকা,তিন টাকা কেজি ঝড়ে পড়া আম

কৃষি রাজশাহী

বাঘা(রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘায় ঝড়ে পড়া আম বিক্রি হচ্ছে দুই টাকা কেজি দরে। আম পাড়ার এই সময়ে ঝড়ে গাছের আম পড়ে কৃষকের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৬লাখ টাকার। অপরিপক্ব বড় সাইজের আম বিক্রি হচ্ছে ৩ টাকা কেজি দরে। তবে সকালের দিকে এ দামে বিক্রি হলেও দুপুরের পর থেকে বেচা-কেনা হয়েছে ২টাকা কেজি দরে। সোমবার (২২মে)উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ও গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, বিনোদপুর,মনিগ্রাম,পাকুড়িয়া,বাউসা,আড়ানিসহ উপজেলার বাসষ্ট্রান্ড এলাকায় বস্তাভর্তি শত শত মণ আম কিনে জড়ো করেছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। এসব আম আচারের জন্য দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করবেন বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

জানা যায়, রোববার (২১ মে) রাত সোয়া ৯টায় আকস্মিক ঝড়ে ব্যাপক আম ঝরে পড়ে। আম পাড়ার এই সময়ে ঝড়ে আম ঝরে পড়ে ব্যাপত ক্ষতি হয়েছে। আম চাষীরা জানান, মে মাসের ৪ তারিখ থেকে গুটি আম ও ১৫ মে থেকে গোপালভোগ আম পাড়া শুরু হয়েছে। ২০ মে থেকে রানীপছন্দ ও লক্ষণভোগ বা লকনা পাড়া হচ্ছে। ২৫ মে থেকে হিমসাগর বা খিরসাপাত, ৬ জুন থেকে ল্যাংড়া, ১০ জুন থেকে আম্রপলি, ১৫ জুন ফজলি, ১০ জুলাই আশ্বিনা, বারি ফোর ও গৌড়মতি, ২০ আগস্ট থেকে ইলামতি আম নামানো যাবে। আর বারোমাসি আম কাটিমন ও বারি ১১ আম সারাবছরই সংগ্রহ করা যাবে। এরই মধ্যে ৪দিনের ব্যবধানে দুই দফার ঝড়ে গাছের অনেক আম পড়ে গেছে।

উপজেলার বড় আম চাষী ও ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম ছানা জানান, রোববার ও বৃহসপতিবার ঝড় হয়েছে। দুই দফার ঝড়ে অন্তত ৬০ মেঃটন আম ঝরে পড়েছে। প্রতি মেঃটন ১০ হাজার টাকা করে হলেও যার মূল্যে দাড়ায় ৬লক্ষ টাকা। তার দাবি, আর কয়েকদিন পরে আমগুলো বাজারে নামতো।

উপজেলার বাজুবাঘার মহসীন মিঞা বলেন, রোববার রাতে ঝড়ে পড়ে যাওয়া প্রায় আড়াই মণ আম কুড়াই। ২০ কেজির মতো আচারের জন্য রেখে দেই। বাকি আম দুপুরের দিকে বাজারে বিক্রি করেছি ২ টাকা কেজি দরে। বানিয়াপাড়া গ্রামের ইদ্রিশ আলী বলেন, দেড় মণ আম কুড়িয়েছি। সকালের দিকে বাড়িতে এসে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা নিয়ে যান।

আম ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন, সোমবার প্রায় ৫শ’ কেজি আম কিনেছেন। খরচসহ এসব আমের দাম পড়েছে প্রায় ১৫০ টাকা মণ। তার কেনা আম ঢাকা, সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠাবেন। তার মতো অনেকেই আম কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাবেন বলে জানান।
বাঘা উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, ঝড়ে আম পড়ে চাষীদের ক্ষতি হয়েছে। তবে গাছে এখানো প্রচুর আম আছে। তাতেই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো যাবে। তিনি জানান,উপজেলায় এবার উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ১লাখ মেঃ টন। ৮হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে।

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *