লালাপুর-বাগাতিপাড়া আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী হুমায়ুন কবির!

রাজশাহী

ফজলুর রহমান,বাগাতিপাড়া,নাটোর: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৫৮ নাটোর-১(লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের নৌকার মাঝি হিসেবে মনোনয়ন প্রত্যাশী বাগাতিপাড়া উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম হুমায়ুন কবির।

শুক্রবার (২৬ মে) বিকেলে উপজেলার লোকমানপুর বাজারে এক মত বিনিময় সভায় তিনি নিজেকে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ গ্রহনের জন্য নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে সকলের কাছে দোয়া চান। এস এম হুমায়ুন কবির বর্তমানে লোকমানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।

মতবিনিময় সভায় তিনি সাবেক ও বর্তমান এমপিদের সমালোচনা করে বলেন, বিগত আওয়ামীলীগের এমপিরা এলাকার কোনো উন্নয়ন করেনি। তারা মানুষের যা উপকার করেছেন তা টাকার বিনিময়ে করেছেন।

হুমায়ন কবির বলেন, আমি আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান, আমার বড় ভাই হাবিবুর রহমান হাবিব দীর্ঘদিন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন এবং জেলা কমিটির বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও আমার আরেক বড় ভাই বদিউজ্জামাল প্রায় ২২ বছর পাকা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন, তিনি একজন প্রবীণ নেতা।

তিনি বলেন, ১৯৮৪ সালে শেখ হাসিনা রাজশাহীতে আসার সময় নাটোরে ততকালীন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে শেখ হাসিনাকে বাধা দিতে যায়। সে সময় একটা সংঘর্ষে আমার ভাই হাবিবুর রহমানের মাথা ফেটে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। তখন তাকে দেখতে হাসপাতালে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আগামীতে আমি এমপি নির্বাচিত হলে, মালঞ্চি ও লোকমানপুর রেলস্টেশন আবার চালু করব এবং ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেন থামাবো। যেহেতু গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সেখানে আমাদের এলাকার লোক নির্বিঘ্নে যাতায়াত করার জন্য লোকমানপু্রে আমি টুঙ্গিপাড়া যাওয়ার ট্রেন থামাবো। আব্দুলপুর লোকমানপুর ও মালঞ্চি রেলস্টেশনের মধ্যবর্তী স্থানে একটি বাইপাস স্টেশন করব ইনশাল্লাহ। যে সকল স্থানে এখনও রাস্তার দুর্গতি সেগুলো আগে আমি করব।
সুগারমিলের যে সকল জায়গায় (লোকমানপুর) রয়েছে সেখানে আমি একটি শিল্প কারখানা তৈরি করে দেবো যাতে হাজার হাজার শ্রমিকের কর্ম হয়।

এস এম হুমায় বলেন, আমি একজন ফুটবল প্রেমী, ক্রীড়াই শক্তি ক্রীড়াই বল মাদক ছেড়ে মাঠে চল, এটা নিয়ে আমি দীর্ঘদিন কাজ করি এবং গত কয়েক বছরে ক্রীড়াপ্রেমীদের পেছনে আমি ২/৩ লক্ষ টাকা খরচ করেছি। আগামীতে আমি লোকমানপুর একটি স্টেডিয়াম তৈরি করে দেবো।

সুতরাং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আমার আবেদন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাকে নৌকা প্রতিকের মনোনয়ন দেবেন। আর জনগনের ভালোবাসা ও দোয়া নিয়ে আগামীতে এই আসন প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে চাই আমি। বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল, ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি নিজাম উদ্দিন সহ আরও অনেকেই এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভা শেষে দলের পক্ষে একটি মিছিল করা হয় তার নের্তৃত্বে।

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *