সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জননেতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সহ পুরো আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করা হয়। এই হামলার পেছনে সরাসরি ছিল তারেক জিয়া। তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তি কার্যকর করা হবে।
খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, আইভি রহমান একজন মহিয়সী নারী নেতৃত্ব ছিলেন। তিনি সব সময় সাধারণ কর্মীদের সাথে থাকতেই ভালোবাসতেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দিন তিনি তার কর্মীদের সাথে নিচেই ছিলেন। যদি ট্রাকে থাকতেন, তাহলে হয়তো বেঁচে যেতেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বিএনপি সরকারের আমলে শিশু হত্যা, নারী নির্যাতন, অসংখ্য মানুষকে অত্যাচার-নির্যাতন করেছে তারা। তারা আজ সেই পাপের শাস্তি ভোগ করছে। খালেদা জিয়া কারা ভোগ করছে, আর তারেক জিয়া লন্ডনে পলাতক। লন্ডন থেকে তারেক জিয়া যে হুমুক দেয়, সেটি দেশে বাস্তবায়ন করে মির্জা ফখরুল।
মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন দৃশ্যমান হয়েছে। পদ্মা সেতু নির্মাণ হয়েছে, মেট্রোরেল চালু হয়েছে, কর্ণফুলী টানেলসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্প উদ্বোধনের অপেক্ষায়। মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। এরপরও বিএনপি-জামায়াত মানুষকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করে। তাদের মানুষকে বিভ্রান্ত করার ষড়যন্ত্র আর কখনো বাস্তবায়ন হবে না।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন প্রসঙ্গে রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, নগরীর উন্নয়নে হোম ওয়ার্ক করছি। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর একটার পর একটা ওয়াদা পূরণ করবো ইনশাল্লাহ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আসলাম সরকার, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফক আলী ভাদু, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. ফ.ম.আ জাহিদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শ্যাম দত্ত, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কামারউল্লাহ সরকার, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রবিউল ইসলাম সরকার, ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহাতাব হোসেন চৌধুরী, ২৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরমান আলী, বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ।