তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি: দেশে বিদ্যুৎতের কোন ঘাটতি নেই, দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। দেশে শতভাগ বিদ্যুৎতের জন্য দেওয়া হল স্বাধীনতা পদক। কি চমৎকার ব্যাপার আগ পিছু না ভেবেই যে কোন বিষয় নিয়ে মেতে উঠতে পারদর্শী ।কিন্তু পবিত্র মাহে রমজান মাস শুরু থেকে বিদ্যুৎতের অসহনীয় লোডশেডিংয়ে নাজেহাল তানোরের জন জীবন। দিনের বেলায় তো হচ্ছে লোডশেডিং আবার রাতেও চলছে বেপরোয়া। দেশের প্রতিটি জায়গার সাথে রাজশাহীর তানোরেও চলছে ভেলকিবাজির বিদ্যুৎ খেল। অথচ নেসকো কর্তৃপক্ষ একমাসের বিল বকেয়া থাকলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং দেওয়া হয় মামলা। তারা নৈরাজ্য করলে কোন সমস্যা নাই, গ্রাহকের একটু সমস্যার জন্য আদালতে ধরনা দিতে দিতে বকেয়া বিলের দ্বিগুণ টাকা গুনতে হয়। আবার বলা হচ্ছে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য জালানি সঙ্কট। যার কারনে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ অনেক কম মিলছে।এঅবস্হা থেকে পরিত্রাণেরও দিক জানা নেয় কর্তাবাবুদের।
জানা গেছে, বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে পরিচিত তানোর উপজেলাটি। এই উপজেলায় নেসকো ও পল্লী বিদ্যুৎ সরবরাহ চলে। তানোর পৌর এলাকায় চান্দুড়িয়া ইউপির কিছু অংশ রয়েছে নেসকোর মধ্যে। নেসকোর গ্রাহক সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৭ হাজারের অধিক। প্রতিদিন বিদ্যুৎতের চাহিদা সাড়ে চয় থেকে সাত মেগাওয়াট। কিন্তু মিলছে এক থেকে দেড় মেগাওয়াট।
সুত্রে জানা গেছে, পিডিবি সরকারি ভাবে বিদুৎ সরবরাহ করত। কিন্তু কর্তাবাবুদের নানা অনিয়ম দুর্নীতির কারনে বর্তমানে নেসকো পরিচালনা করছে। নেসকো পরিচালনা করার পর থেকে এক মাসের বিল বকেয়া থাকলেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন নইলে মামলা। একবার মামলা হলে বিলের দ্বিগুণ টাকা যায়। পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দিন থেকে দিনে রাতে চলছে বেপরোয়া ভেলকিবাজির লোডশেডিং। তাও আবার ইফতার, তারাবির নামাজ ও ঘুমের মধ্যে গভীর রাতে লোডশেডিং চলছে। গ্রাহক বাবু জানান, প্রচন্ড খরতাপের সাথে তাল মিলিয়েছে বিদ্যুৎতের লোডশেডিং। এমনিতেই মশার জালায় থামাই কষ্টকর। আর রাতে বিদ্যুৎ না থাকলে মশার যন্ত্রণায় কোথাও থামা যায় না। কি কারনে এমন অমানবিক লোডশেডিং কোন কিছুই জানা নেই গ্রাহকের। গ্রাহক গোলাম রাব্বানী জানান, শতভাগ বিদ্যুৎ হয়ে গেছে। আর রমজান মাসে চলছে লোডশেডিং। শতভাগ করতে তো টাকা লাগেনি তেল মেরেই হয়ে গেছে। লোডশেডিংয়ের কারন হিসেবে বলছে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারনে জালানি সঙ্কট। কাটাখালি কেন্দ্র থেকে সাড়ে ছয় সাত মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যেত। কিন্তু জালানি না পাওয়ার কারনে এক দেড় মেগাওয়াটও মিলছে না। আবার এত লোডশেডিং হলেও বিলে কমতি নেই কি অবস্থা।
তানোর নেসকো অফিসের এক ব্যক্তি জানান, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ না হলে যে টুকু পাওয়া যাচ্ছে ভবিষ্যতে সেটাও পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ আছে। ( নেসকো) তানোর আবাসিক প্রকৌশলী জানান, চেষ্টা চলছে সমাধান করার। তবে ভালো রয়েছে পল্লী বিদ্যুৎতের অবস্থা।
তারা চাহিদা মুলুক বিদুৎ সরবরাহ করতে পারলেও কিছু মটর পাম্প মালিকের বেপরোয়া ভাবে ভূগর্ভস্থ পানি হুমকিতে ফেলে রমরমা মটর বানিজ্য করছেন। যার ফলে কিছুটা বিদ্যুৎ লোডশেডিং পোহাতে হচ্ছে গ্রাহকদের কে। এসব মটর গিলছে গ্রহকের বিদ্যুৎ।
তানোর পল্লী বিদ্যুৎতের এজিএম কামাল হোসেন জানান, আমাদের গ্রাহক প্রায় ৫০ হাজার, বিদ্যুৎতের প্রয়োজন ২২ মেগাওয়াট। কিন্তু মিলছে ১৫ থেকে ১৬ মেগাওয়াটের মত। তা দিয়েই গ্রাহকের সমস্যা দুর করা হচ্ছে।