নৌকা ডুবে যুবক নিখোঁজ, ৫দিনের ব্যবধানে ৩ শিশুসহ ৪জনের প্রাণ গেল পদ্মায়

বিশেষ সংবাদ লীড

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘায় ৫দিনের ব্যবধানে পদ্মায় ডুবে প্রাণ হারালো ৩শিশুসহ ৪জন। সর্বশেষ শনিবার (২০-০৪-২০২৪) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার চরাঞ্চলের চকরাজাপুর ইউনিয়নের পদ্মা নদীর খেয়াঘাট এলাকায় টিনের ডুঙ্গা নৌকা ডুবে নিখোঁজ হয়েছে আসাদ হোসেন (১৮) নামে এক যুবক। সে টিনের ডুঙ্গা নৌকা নিয়ে পদ্মায় মাছ ধরতে গিয়েছিল। আসাদ হোসেন উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নের দাদপুর চরের আশরাফুল ইসলামের ছেলে। মরদেহ পাওয়ার অপেক্ষায় স্বজনদের ভিড় ছিল পদ্মা পাড়ে।

আসাদ হোসেনের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, টিনের তৈরী ডুঙ্গা নৌকা নিয়ে চকরাজাপুর পদ্মা নদীর খেয়াঘাটের পশ্চিমে মাছ ধরতে যাওযার সময় নদীর মাঝামাঝি স্থানে গিয়ে স্রোতে ডুবে যায় আসাদ আলী। এ সময় নদীতে থাকা অন্যরা উদ্ধারের চেষ্টা করেও পারেননি।

আসাদের মেজো ভাই কায়েস উদ্দিন বলেন,পদ্মায় মাছ ধরে তারা সংসার চালান। সেই সুবাদে ছোট ভাই আসাদ টিনের তৈরী ডুঙ্গা নৌকা নিয়ে দুপুরে মাছ ধরতে যায়। তাকে নিষেধ করলেও আমার কথা না শুনে মাছ ধরতে গিয়ে পদ্মায় ডুবে নিঁেখাজ হয়। শনিবার পৌণে ৫টা পর্যন্ত চকরাজাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় নৌকা ও জাল নিয়ে স্থানীয় জেলেসহ লোকজন খোঁখুজি করেও তাকে উদ্ধার করতে পারেনি।

চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডি এম বাবুল মনোয়ার দেওয়ান বলেন, পরে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে অবগত করেছি।

রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর স্টেশন অফিসার আবু সামা বলেন, খবর পেয়ে ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছে। সেখানে পৌঁছেই তারা উদ্ধার অভিযান পরিচালানা করবেন। বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল আযমের সাথে কথা বলে জানা যায়,এ সময়ের মধ্যে রাজশাহীর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর দল উদ্ধার কাজ শুরু করতে পারেনি।
এই ঘটনার আগের দিন শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) উপজেলার পদ্মা নদীর মুশিদপুর এলাকার খেয়াহাটের পদ্মায় ডুবে মারা যায় উপজেলার খায়েরহাট গ্রামের সুজন আলীর ১০ বছরের ছেলে সিয়াম হোসেন সজিব (১০)। এর আগে রোববার (১৪ এপ্রিল) মানিকের চর এলাকার পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে ৮ বছরের জান্নাত খাতুন ও ১২ বছরের ঝিলিক খাতুন মারা যায়। পরের দিন সোমবার (১৫ এপ্রিল) শিশু জান্নাত খাতুনের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা গেলেও ঝিলিক খাতুন নিখোঁজ রয়েছে।

জান্নাত কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার বাংলাবাজার চর এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেম মন্ডলের মেয়ে। ঝিলিক চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পাটগ্রামের মনির হোসেনের মেয়ে।

জান্নাত খাতুন ও ঝিলিক খাতুনের স্বজনরা জানান, তারা পরস্পর ফুপাতো মামাতো বোন। তারা চৌমাদিয়ার মানিকের চরের আবদুল মান্নানের মেয়ে হালিমা খাতুনের বিয়ে অনুষ্ঠানে এসে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হন।

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *